আদি ও আসল চিকিৎসা সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখা অতিব জরুরি। আদিকাল হতে বর্তমান আধুনিক যুগ পর্যন্ত সকলই আদি ও আসল চিকিৎসা সারা পৃথিবী ব্যাপি সমাদৃত। আদি ও আসল চিকিৎসা সম্মন্ধে বিভিন্ন কিতাবাদিতে বহু বর্ণনা পাওয়া যায়। আজকের এই লিখনীতে আদি ও আসল চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করার প্রয়াস চালাব।
দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা
আদি ও আসল চিকিৎসা প্রয়োগ করে হাজারো মানুষের উপকার করা সম্ভব। এর দ্বারা হরেক রকম রোগের চিকিৎসা করা যায়। লোকমান হাকিম, হাকিম জালিয়ানুছ, হাকিম দুবান, আদি ও আসল চিকিৎসা করে বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কাজেই আজকের আলোচনার ২য় পর্বে দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসার ব্যাপারে আলোকপাত করব।
পুরুষাঙ্গ লম্বা করিবার ঔষধ
পাঁচ গ্রাম ইন্দ্রযব উত্তম রূপে পিষিয়া সামান্য গোদুগ্ধের সহিত গরম করিয়া মলম বানাইবে। এরপর লিঙ্গকে গরম পানি দিয়া ধৌত করিয়া উক্ত মলম মালিশ করিবে। এই প্রকারে কয়েকদিন মালিশ করিলে লিঙ্গ দীর্ঘ হইবে।
সিপলিসের জন্য চিকিৎসা
কাঁচা তুলসীপাতা ১৪ গ্রাম, সাদা তুতিয়া ৪ গ্রাম, ইহা পিশিয়া বড়ি বানাইয়া প্রত্যহ সকালে পানি সহ সেবন করিলে সিপলিস রোগ আরোগ্য হয়।
লজ্জাস্থান ছোট করিবার চিকিৎসা
যদি কোন মেয়েলোকের যৌনদ্বার প্রসস্ত হইয়া যায় স্বামী সহবাসে তৃপ্তি না পায় তাহা হইলে মুরগীর হাড় মিহিন করিয়া পিষিয়া, নারগিস ফুলের পাতার রস এবং আঙ্গুর পাতার রস বাহির করিয়া উহার সহিত মিলাইয়া পাতলা নেকড়ায় মাখিয়া কয়েকদিন যোনির ভিতরে রাখিলে যোনিদ্বার কুমারী মেয়ের মত হইয়া যাইবে।
অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
কুমারিত্ত্ব লাভের চিকিৎসা
যদি কোনো নারীর লজ্জাস্থান সন্তান জন্ম হইবার কারণে ফাটিয়া গিয়া বড় হইয়া যায় তাহা হইলে মাজুফল, তূখমে মুরেদ ও হিংগুল সমপরিমাণ লইয়া ভাল করিয়া পিষিয়া মলমের মত বানাইয়া লজ্জাস্থানের ভিতরে মালিশ করত এক ঘন্টা পর্যন্ত রানের উপর রান রাখিয়া পরে স্বামী সহবাস করিলে প্রথম মিলনের মত আনন্দ পাইবে। যোনি পথ চিকন হইয়া কুমারিত্ত্ব লাভ করিবে।
মেহ রোগের চিকিৎসা
গক্ষুর কাটা ৫ গ্রাম, পদ্মবিচির শাষ ও আউশ চাউল, মোচরস, সমন্দরসুক, বিজবন্দ, শীলমালা প্রত্যেকটি ৩ গ্রাম করিয়া এবং তালমাকানা ২ গ্রাম সমস্ত ঔষধগুলি চুর্ণ করিয়া উহার সহিত চিনি মিশ্রিত করিয়া হালুয়ার মত তৈরী করিয়া প্রত্যহ এক তোলা করিয়া সেবন করিবে।
প্রমেহ রোগের চিকিৎসা
তালমাকানা ১ গ্রাম, গালা ৬ মাশা চিনিয়াগোন্দ ৯ গ্রাম নিয়া চুর্ণকরত মধুর সহিত মিলাইয়া চানাবুটের মত বড়ি বানাইয়া প্রত্যক সকালে ও বিকালে একটি করিয়া বড়ি সেবন করিবে।
দাঁদের ঔষধ
কাঁচা মাজুফল, সোহাগা, গন্ধক ও তুতিয়া ও ধুপ সমপরিমাণ লইয়া পানি দিয়া পিষিয়া বড়ি বানাইবে। তারপর ঐ বড়ি পানি দিয়া পিষিয়া কয়েক দিন দাঁদে লাগাইবে।
খুজলী ও চুলকানির ঔষধ
তুতিয়া ও শুকনা তামাক পাতা ১ তোলা করিয়া, কামিল ২ তোলা ও চিনি ৪ তোলা একত্রে চুর্ণ করিয়া সারষার তৈলে মিলাইয়া মলম বানাইবে। তারপর খুজলিপাচড়ায় কয়েকদিন লাগাইবে।
হাম ও লুস্তির ঔষধ
বচ্চদের হাম ও লুতি দেখা দিলে, তুলসী পাতা অথবা কলমী পাতার জেল তৈরী করিয়া সেবন করাইলে আরোগ্য হইবে।
ফোড়া বা বিচির ঔষধ
নিম পাতা অথবা ময়না পাতা পিষিয়া ফোড়ার উপর প্রলেপ দিলে ফোড়া পাকিয়া যায়। ভিজা কাপড়ে তোকমা লাগাইয়া মাঝখানে ছিদ্র করিয়া ফোড়ার উপর লাগাইলেও ফোড়া পাকিয়া যায়। ইহা ছাড়া কবুতরের পায়খানা ঈষৎ গরম করিয়া ফোড়ায় লাগাইলে ফোড়া ফাটিয়া যায়। বাবলা পাতা অথবা নিম পাতা ঘিতে ভাজিয়া ঘি দ্বারা পিষিয়া ফোড়ায় লাগাইলে পূঁজ বাহির হইয়া অতিশিঘ্র ক্ষত সারিয়া যায়।
আগুনের পোড়ার ঔষধ
শরীরের কোন অঙ্গ হঠৎ আগুনে পুড়িলে তাড়াতাড়ি গোল আলূ বাটা, পুইশাকের রস, কেরোসিন কিংবা দধির কাঁত লাগাইয়া দিলে, সঙ্গে সঙ্গে জালাপোড়া বন্ধ হইবে আর ফোস্কা পাড়িবে না।
ভাঙ্গা মচকার চিকিৎসা
কোন কারণে হঠাৎ শরীরের কোন অঙ্গ ভাঙ্গিয়া বা মচকাইয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে মচকলতা অথবা ভিজা কাঁপগ দ্বারা পেচাইয়া রাখিবে। ইহাতে আরোগ্য হইবে।
হাত পা কাটার ঔষধ
শরীরের কোন অঙ্গ হঠাৎ কাটিয়া গেলে, দুর্বাঘাস চিবইয়া লাগাইয়া বাধিয়া দিবে। কিংবা সাথে সাথে চুন দ্বারা প্রলেপ দিয়া বাধিয়া দিবে। অথবা ছাড়া লতার রস লাগাইয়া দিবে কিংবা পাথর কুচির পাতা চুর্ণ করিয়া লাগাইয়া দিবে। ইহাতে রক্তপাত বন্ধ হইয়া ঘা শুকাইয়া যাইবে।
স্তনের দুধ শুন্যতার ঔষধ
নীল শুদিফুলের শিকড় বাটিয়া খাইলে দুধ বেশী হইবে। অথবা ভুইকুমড়া চুর্ণ করিয়া গোদুগ্ধ দ্বারা সেবন করিলে স্তনের দুধ বেশী হইবে।
স্তন ঢিলা হইলে উহার ঔষধ
কেঁচোর রস কিংবা গম্ভারী ফুল অথবা, পাতার রস মেয়েলোকের স্তনে মালিশ করিলে ঝুলন্ত ও ঢিলা স্তন সুদৃঢ় ও খাড়া হইবে। দ্রব্যগুণ ও টোটকা যাদু ২য় পর্ব সমাপ্ত
মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮