কতিপয় কুফুরী বাক্য সম্পর্কে আজ আলোচনা করব যেগুলো মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলে ঈমান চলে যাবে। কাজেই এই কতিপয় কুফুরী বাক্য জেনে রাখা প্রত্যক মুসলিম নর-নারীর জন্য আবশ্যক।
নিচের বাক্যগুলি কুফুরী কালাম হিসাবে চিহ্নিত। এইসব কুবাক্য উচ্চারণ করিলে তাওবা করা আবশ্যক হইবে।
১। কোন ব্যক্তিকে আল্লাহর হুকুম আহকাম প্রচার করিতে দেখিয়া যদি বলা হয় যে, তুমি বেহুদা গোলমাল করিতেছে। তবে এইরূপ মন্তব্যকারী কাফের হইবে।
২। কেহ মুয়াজ্জিনের আজান শুনিয়া যদি তাহাকে বলে যে তুমি মিথ্যা বলিতেছ, তবে এ ব্যক্তি কাফের হইবে।
৩। কেহ যদি এইরূপ বলে যে, আরে মিঞা রাখ তোমার সুন্নাত। সুন্নাতে কি কাজ হইবে? তবে সে কাফের হইবে।
৪। ফরজ কাজকে ফরজ বলিয়া না মানিলে কাফের হইবে।
৫। কোন হারাম কাজকে হালাল এবং কোন হালাল কাজকে হারাম জানিলে কাফের হইবে।
৬। কেহ কাহাকেও নামায পড়িবার জন্য তাকীদ করিলে তাহার উত্তরে যদি এইরূপ বলে যে, তুমি এতকাল নামায পড়িয়া কি পাইয়াছ শুনি? তবে সে কাফের হইবে।
৭। যদি কেহ এইরূপ বলে যে হারাম কার্য কাছে পাইতে হালালের ধার ঘেষিব কেন? তবে সে কাফের হইবে।
৯। যদি কেহ বলে যে, নবী করীম (সাঃ) এই কাজ করিতেন, তাহার উত্তরে যদি কেহ বলে যে, ইহা অসভ্যতা তবে শেষোক্ত ব্যক্তি কাফের হইবে।
১০। যদি কেহ বলে যে, তোমার নিকট টাকা পয়সা নাই, ইহা পয়গম্বর বা ফেরেস্তায় সাক্ষ্য দিলেও বিশ্বাস করি না। তবে সে কাফের হইবে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন ঔষধের নাম শিখতে ভিজিট করুন
১১। কেহ কোন নবী রাসূলের নিন্দা করিলে সে কাফের হইবে।
১২। যদি কেহ বলে যে, এইরূপ শরীয়তের হুকুম। ইহার জওয়াবে কোন ব্যক্তি যদি ঘৃণার ভাব প্রকাশ করিয়া বলে যে, “এই বুঝি শরীয়ত” তবে জবাব দানকারী ব্যক্তি কাফের হইবে।
১৩। কেহ বিসমিল্লাহ বলিয়া হারাম কার্য করিলে সে ব্যক্তি কাফের হইবে।
১৪। কেহ যদি বলে যে, চুরি করা, জেনা করা হালাল হইলেই বেশি ভাল হইত তবে সে কাফের হইবে।
১৫. যদি কেহ কোন স্ত্রীলোককে এইরূপ পরামর্শ দেয় যে, তুমি মোরতাদ হইয়া যাও। (ইসলাম পরিত্যাগ কর) তাহা হইলে তোমার স্বামীর সাথে সম্পর্ক চুকিয়া যাইবে। ইহাতে পরামর্শদাতা কাফের হইবে।
১৬। যদি কোন ব্যক্তি অনর্গল গুনাহ করিতে থাকে এবং তাহাকে কেহ বলে যে, তুমি তওবা কর, তাহার উত্তরে যদি সে বলে যে, আমি কি এমন অন্যায় করিয়াছি যাহার জন্য তওবা করিব? তবে সে কাফের হইবে।
১৭। কেহ দীদারে এলাহী অর্থাৎ আল্লাহ তা’য়ালার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ অস্বীকার করিলে কাফের হইবে।
১৮। কেহ যদি এইরূপ বলে যে, অমূক ব্যক্তি খোদা হইলেও তাহার নিকট হইতে আমার পাওনা আদায় করিব। তবে সে কাফের হইবে।
২০। যদি কাহারও সন্তানাদির মৃত্যু হইলে এইরূপ বলে যে, ওর দ্বারা খোদার প্রয়োজন ছিল তাই উহাকে নিয়া গিয়াছে। তবে সে কাফের হইবে।
২১। কেহ যদি এইরূপ বলে যে, আমি খোদার পাপপূণ্য বিধানের প্রতি নাখুশি আছি, তবে সে কাফের হইবে।
২২। যদি এইরূপ বলে যে, অমুক ব্যক্তি যদি পয়গাম্বর হয় তবু আমি তাহাকে মানিব না বা স্বয়ং আল্লাহ্ আমাকে নামায পড়িতে বলিলেও আমি নামায পড়িব না। তবে সে কাফের হইবে।
২৩। কেহ যদি এইরূপ ধারণা রাখে যে, সে কিছুদিন পরে কাফের হইবে, তবে সে প্রকৃত পক্ষে ঐরূপ নিয়ত করিবার সাথে সাথেই কাফের হইয়া যাইবে।
২৪। যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন লোককে লক্ষ্য করিয়া কোন বেঈমানী কাজের দিকে ইঙ্গিত করতঃ বলে যে চল মুসলমানী কাজ করিয়া আসি, তবে ইহাতে সে কাফের হইবে।
পাঠকগণের অবগতির জন্য এখানে একটি কথা উল্লেখ করা হইতেছে যে, উপরে বর্ণিত কথাবার্তা দ্বারা কুফরী লাজেম হইলেও এ সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা (রহ) বলিয়াছেন যে, লোকে যাহাই বলুক না কেন যদি তাহার অন্তরে কাফের হইবার ইচ্ছা না থাকে তবে তাহার ঈমান নষ্ট হইবে না। (আল্লাহু আয়’লাম)
যদি কোনো ব্যক্তি উপরে বর্ণিত কুফুরী বাক্য উচ্চারণ করিয়া ফেলে আর সেই কথাটি কেবলমাত্র মুখেই বলিয়া থাকে অর্থাৎ তাহার অন্তর থাকিয়া বলে নাই তবে সে কাফের হইবে না। কিন্তু এই বাক্যগুলি উচ্চারণ করিলে কবিরা গোনাহগার হইবে। আর কবিরা গোনাহ তাওবা না করিলে মাফ হয় না। কাজেই ঐ ব্যক্তির উপর তাওবা করা তথা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া আবশ্যক।
৩০টি আজব দ্রব্যগুণের টোটকা যাদু শিখতে ভিজিট করুন
যোগাযোগ
মো: নজরুল ইসলাম
০১৭১৬-৩৬৯৫৮