খতমে খাজেগান হল উদ্দেশ্য সফল ও বিপদ দূর করার শ্রেষ্ট খতম বা আমল। হাজার হাজার লোক খতমে খাজেগান পড়ার উছিলায় যেমন একদিকে তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন তেমনি অন্যদিকে বিপদমুক্তও হয়েছেন। চাকরি পাওয়া বা চাকরির পদোন্নতির জন্য, আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য, মনের নেক হাজত পূর্ণ করার জন্য এই খতম খুবই কার্যকর। নিচে খতমটি পড়ার নিয়ম দেয়া হল।
সম্পাদনায়: হযরত মাওলানা ক্বারী মো: নজরুল ইসলাম সাহেব, ভাদেশ্বরী। (এমএম, এমএ)
খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম
খতমে খাজেগান মনের নেক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য উত্তম আমল। খতমে খাজেগান পড়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বিপদ-আপদ দূর হয়। উলামায়ে কেরামগণ খতমে খাজেগান এর হাজারো ফজিলত, উপকারিতা ও সওয়াব সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। আজ আমরা এ সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। নিচে খতমে খাজেগান পড়ার বাংলা এবং আরবি নিয়ম অর্থসহ বর্ণনা করা হল।
খতমে খাজেগান পড়ার মাধ্যমে উদ্দেশ্য হাসিল
হজরত খাজা বাহা উদ্দিন নকশবন্দী, হজরত খাজা বয়োজিদ বোস্তামী, হজরত খাজা আবুল হাছান খারকানী, হজরত খাজা আব্দুল খালেক এজদাওয়ানী, খাজা আহমদ ওয়াছওয়াতী, হজরত খাজা আবুল মনসুর, হজরত খাজা হামদানী, হজরত খাজা বাবাছমিনাছী, হজরত খাজা মোহাম্মদ নকশবন্দী, হজরত খাজা আব্দুল্লাহ আহরাফী, (আল্লাহ তাঁদের উচ্চ মর্যাদা দান করুন) এ সকল ওলী- আল্লাহগণ সুদৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, যে ব্যক্তি নিচের নিয়মে ৩ দিন পর্যন্ত খতমে খাজেগান পড়বে, আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর ১ হাজার ১টি আশা পূর্ণ করবেন।
হযরত মাওলানা জনাব কামরুল হুদা খান ছিদ্দিকী ছাহেব তাঁর একটি বিখ্যাত উর্দু কিতাবে খতমে খাজেগানের কথা অতিব গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছেন। এই খতম যে কোনো সময়ই পড়া যায়। তবে সোমবার বা বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার আরম্ভ করাই উত্তম। আশা পূরণের জন্য এই খতম অত্যন্ত কার্যকরী। ইহা বহুবার পরীক্ষা করা হয়েছে। অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে ভিজিট করুন
খতম পড়ার নিয়ম
কয়েকজন পরহেযগার-মুত্তাকী লোক পাক-পবিত্রতার সাথে বসে নিচের নিয়মে খতমে খাজেগান পড়বেন-
সূরা ফাতেহা ৭ বার, ১০০ বার দুরূদ শরীফ। তারপর ৭৯ বার সূরা আলাম নাশরাহলাকা, ১০০০ বার সূরা ইখলাছ, ১০০ বার দুরূদ শরীফ।
তারপর ১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ قَاضِىَ اَلحَاجَاتِ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া ক্বাদিয়াল হাজাত,
অর্থ- হে আল্লাহ্! হে হাজতসমূহ পূর্ণকারী।
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ كَافِىَ اَلمُهِمَّاتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া কা-ফিয়াল মুহিম্মাত,
অর্থ- হে আল্লাহ্! হে গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলি সস্পাদনকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ دَافِعَ اَلبَلِيَاتُ ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া দাফিয়া’ল বালিইয়্যাত,
অর্থ- হে আল্লাহ্! হে বিপদসমূহ প্রতিরোধকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُجِيبَ الدَّعوَاتُ ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুজিবাদ্ দায়’ওয়াত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে প্রার্থনাসমূহ কবুলকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ رَافِعَ اَلدَّرَجَاتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া রা-ফিয়া’দ্ দারাজাত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে মর্যাদাসমূহ উন্নয়নকারী!
১০০ বা পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُسَبِّبَ الاَسبَابُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুছাব্বিবাল আছবাব,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে সকল উপকরণের ব্যবস্থাপক!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُفَتِّحَ الاَبوَابُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুফাত্তিহাল আবওয়াব,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে দরজাসমূহ (রহমতের) উম্মুক্তকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ حَلاَّلَ المُشكِلاَتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া হাল্লালাল মুশকিলাত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে বিপদসমূহ থেকে মুক্তিদানকারী!
১০০ বার পড়বে-
اَللٰهُمَّ ياَ نَاصِرَ الطَّيِّبَاتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া না-সিরাত্ ত্বাইয়্যিবাত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে উত্তম কার্যাবলির সাহায্যকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ وَلِىَ الحَسَنَاتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া ওয়ালিয়্যাল হাছানাত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে কল্যানসমূহের অধিকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ شَافِىَ المَرضٰى٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া শাফিয়াল মারদ্বা,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে রোগীদের আরোগ্যদানকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُنجِىَ الهَلكٰى ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুনজিয়াল হালকা,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে ধবংশ প্রাপ্তদের উদ্ধারকারী!
১০০ বা পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُنقِذَ الغَرقٰى٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুনক্বিজাল গারক্বা,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে ডুবন্তদের উদ্ধারকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ شَاهِدَ كُلِّ نَجوٰى٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া শা-হিদা কুল্লি নাজওয়া,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে সকল গোপন বিষয়ের দ্রষ্টা!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُنتَهٰى كُلِّ شَكوٰى٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুনতাহা কুল্লি শাকওয়া,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে সকল অভিযোগের প্রান্তসীমা!
১০০ বা পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ غِيَاثَ المُستَغِيثِينَ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া গিয়া-ছাল মুসতাগীসীন,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে আর্তনাদকারীদের আর্তনাদ শ্রবণকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ ذَاالجَلاَلِ وَالاِكرَامِ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে মহত্ব ও দয়ার অধিপতি!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ حَىُّ يَا قَيُّومُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া হাইয়্যু, ইয়া ক্বাইয়্যুম,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে চিরঞ্জিব, হে সবকিছুর ধারক!
১০০ বা পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ سَلاَمُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া সালামু,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে শান্তিদাতা!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ اَرحَمَ الرّٰحِمِينَ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া আরহামার রা-হিমীন,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে দয়ালুদের বড় দয়ালু।
অত:পর নিচের দোয়াটি ১০০ বার পড়বেন-
فَسَهِّلْ يَا اِلَهِى كُلَّ صَعْبٍ بِحُرمَةِ سَيِّدِ الاَبْرَارِ٠ سَهِّلْ بِفَضْلِكَ يَا عَزِيزُ٠
উচ্চারণ- ফাছাহ্হিল ইয়া ইলাহি কুল্লা স্বায়’বিন বিহুরমাতি সাইয়্যিদিল আবরার, ছাহ্হিল বিফাদ্বলিকা ইয়া আজীজ।
অর্থ- হে আল্লাহ! নেক্কারগণের ছরদার হযরত মুহাম্মদ (সা) এর ইজ্জতে আমার প্রত্যেক কঠিন কাজ সহজ করে দাও! হে ক্ষমাশীল! তোমার দয়া দ্বারা সহজ করে দাও!
অত:পর নিজের হাজতের জন্য দোয়া করলে ইনশাহ আল্লাহ দোয়া কবুল হবে।
টোটকা চিকিৎসা ও যাদু বিদ্যা শিখতে ভিজিট করুন
যোগাযোগ
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮
ইমেইল: nazruld@yahoo.com