শিশুদের বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস খুবই যন্ত্রণাদায়ক। বিশেষ করে শীতে ও বৃষ্টির দিনে আপনার শিশু যদি প্রতি রাতেই ঘুমের মধ্যে বিছানায় প্রস্রাব করে তবে বিপাকে পড়েন মায়েরা। নিজ সন্তানের এ বিব্রতকর সমস্যা নিয়ে ভুগেননি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়াই যাবে না। এজন্য শিশু সন্তানদের বিছানায় প্রস্রাব করার চিকিৎসা জানা অতিব জরুরি। আমরা আজ বিছানায় প্রস্রাব করার চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত কিছু লিখব। আশা করছি পাঠকদের উপকারে আসবে।
প্রথমে আলোচনা করব দ্রব্যগুণন এলাজ নিয়ে
১. যে শিশু রাতে শুয়ে বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলে তার ডান জঙঘায় উঠের দেহের লোম বেঁধে দিলে সে তার বিছানা ভেজাবে না।
২. বিছানার নিচের মাটি ভাজিয়া তা দ্বারা বড়ি বানাইয়া কয়েক দিন খাওয়াইলে বিছানায় প্রস্রাব করা বন্ধ হইয়া যায়।
৩. কালোজিরা পিষিয়া মধুর সহিত মিশাইয়া সকাল বিকাল খাওয়াইলে প্রস্রাবের দোষ ছাড়িয়া দিবে।
৩০টি আজব দ্রব্যগুণের টোটকা যাদু শিখতে ভিজিট করুন
এবার আমরা ডাক্তারদের দেয়া নির্দেশনা মতো কিভাবে শিশুকে বিছানায় প্রস্রাব করা থেকে মুক্ত করবেন সেই ব্যাপারে আলোচনা করব।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহায়োর ক্লিভলেন্ড ক্লিনিকের একদল ডাক্তারের নির্দেশনা দেখে জেনে নিন কীভাবে আপনার সন্তানের বিছানায় প্রস্রাব করার অভ্যাস ত্যাগ করাবেন।
তরল জাতীয় খাবার
রাতের খাবারের পরপরই তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস বন্ধ করুন। দিনের কোন সময় পানি কিংবা তরল জাতীয় খাবার খাবে সেটার জন্য একটি রুটিন করে দিন।
ঘুমানোর আগে প্রস্রাব
ঘুমানোর সময় শিশুকে উঠিয়ে একবার টয়লেটে নিয়ে প্রস্রাব করিয়ে আনতে হবে। তবে সবসময় এটা করবেন না তাহলে আপনার বাচ্চা নিদ্রাহীনতা ও হতাশায় ভুগবে।
রুটিন মাফিক বাথরুম
শিশুদের বাথরুমে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। প্রতি দুই তিন ঘন্টা পর যাতে বাথরুমে যায় সেটা খেয়াল রাখুন।
রাতে জ্যুস ও মিষ্টি খাওয়ান
রাতের বেলা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চকোলেট মিল্ক এবং কোকো খাওয়ানো বন্ধ করুন। এটাতেও কাজ না করলে সাইট্রাস জাতীয় জ্যুস ও মিষ্টি খাওয়ানো বন্ধ করুন।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন ঔষধের নাম শিখতে ভিজিট করুন
দূর করুন কোষ্ঠকাঠিন্য
কোষ্ঠকাঠিন্য আছে কীনা সেটা যাচাই করার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বিছানায় প্রস্রাব করার অভ্যাস তৈরি হতে পারে।
উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কার
সপ্তাহে কোন কোন রাতে শিশু বিছানায় প্রস্রাব করেনি সেদিনগুলো শিশু নিজে লাল কালি দিয়ে ক্যালেন্ডারে দাগ দেবে এবং বিছানায় প্রস্রাব না করার জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের পছন্দনীয় পুরস্কার দিতে পারেন।
খেতে দিন দারুচিনি
আপনার শিশুকে আস্ত দারুচিনি চিবিয়ে খেতে দিতে পারেন। সকালের নাস্তায় দারুচিনি গুঁড়োর সাথে চিনি মিশিয়ে খাবার যেমন- ব্রেড, বাটার টোস্টে মিশিয়ে দিন। নিম্নাঙ্গের আশেপাশে কুসুম গরম অলিভ অয়েল মাখিয়ে নিতে পারেন। এতেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।
যাই হোক না কেন কখনোই শিশুকে এই অভ্যাসের জন্য ধমকাবেন না বা শাস্তি দিবেন না। শাস্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এতে শিশু মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
কোমর ব্যথার কারণ ও তার প্রতিকার জানতে এখনই ভিজিট করুন
মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮