রিজিক বাড়ানোর আমল সম্পর্কে আজকের আলোচনা। আমালিয়াত ১ম ভন্ড, ৩য় অধ্যায়, ২য় পর্বে রিজিক বাড়ানোর আমল নিয়েই আলোকপাত করা হয়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সময়ের স্বল্পতাহেতু সকল আয়াত বা বাক্যের হরকত দেয়া সম্ভব হয়নি।
ইনশাহ আল্লাহ ধীরে ধীরে প্রতিটি আয়াত বা বাক্যের হরকত সংযোজন করা হবে তথা যের, যবর, পেশ সংযোজন করা হবে। তাই আপডেট পেতে সাথে থাকুন।
রোজগার বৃদ্ধি ও জীবিকা প্রাপ্তির আমল
আমি এই কিতাবটিতে বিভিন্ন আরবী, উর্দু, ফার্সী এবং বাংলা কিতাব হতে যাচাই-বাছাই করে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি রোজগার বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আল্লাহপাক এই আমলগুলোর বদৌলতে আমাদের রোজগার বৃদ্ধি করবেন।
এগার নং আমল
প্রথম দিনের চাঁদ দেখে সূরা মূলক তিলাওয়াত করলে পূর্ণ মাস শান্তিতে অতিবাহিত হয়। জীবিকা বৃদ্ধি পায়। দোয়া কবুল হয়। (আমালে কোরআনী)
বার নং আমল
ছোবহে ছাদিকের সময় সূরা ত্বাহা পাঠ করলে এবং দোয়া করলে নতুন নতুন জীবিকা পাওয়া যায়। সমস্ত মকছুদ পুরা হয় এবং মানুষের মন তার প্রতি আকৃষ্ট থাকে। (আমলে কোরআনী)
তের নং আমল
সূরা হিজর লিখে পকেটের ভিতর রাখলে কিংবা মানি ব্যাগের মধ্যে রাখলে জীবিকা বাড়ে। সবাই সম্মান করে এবং কেউ তার বিরুদ্ধাচরণ করতে সাহস পায় না । (আমালে কোরআনী)
চৌদ্দ নং আমল
সূরা কাহাফ (পারা-১৬) লিখে একটি বোতলে বন্ধ করে ঘরের মধ্যে রাখলে ঋণ ও দরিদ্রতা হতে মুক্ত হওয়া যায় এবং বাড়ীর সবাই নিরাপদে থাকে। (আমালে কোরআনী)
পনের নং আমল
নিচের আয়াত প্রত্যেক নামাজের পর নিবিষ্ট চিত্তে অসংখ্য বার পড়বেন। এতে রিযিক বৃদ্ধি পায়। আয়াতটি হল-
اَللٰهُ لَطِيْف بعباده يرزق من يشاء وهو القوی العزيز٠
উচ্চারণ- আল্লাহু লাতিফুম বি ইবাদিহি ইয়ারজুকু মাইয়াশায়ু ওয়াহুয়াল ক্বায়ীয়ুল আজিজ। (সূরা শুরা-আয়াত-১৯) (আমালে কোরআনী)
ষোল নং আমল
রমদ্বান মাসের চাঁদ দেখার সময় সূরা ফাতহ (পারা-২৬) পাঠ করলে সারা বছর খোশহালি থাকে। আল্লাহপাক অভাব-অনটন হতে মুক্ত রাখেন। (আমালে কোরআনী)
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন ঔষধের নাম শিখতে ভিজিট করুন
সতের নং আমল
কারো রুজি-রোজগার কমে গেলে এবং দরিদ্রতায় পতিত হলে প্রথমে সাচ্চা দেলে তওবা করে নেক কাম করার পাকা ইরাদা করবেন। অতঃপর জুমআর রাত্রের (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্র) অর্ধ রাত্রের সময় উঠে নিবিষ্টচিত্তে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন। পরে উক্ত আয়াত ১০০ বার পড়ে শুয়ে থাকবেন। এই আমল করলে কিভাবে আপনার দরিদ্রতা দূর হবে তা স্বপ্নে দেখতে পারবেন। তদনুরূপ কাজ করলে ইনশা আল্লাহ দরিদ্রতা বিদূরিত হবে।
ومن قدر عليه رزقه فلينفق مما اٰتٰهُ اللٰه٠ لا يكلف اللٰه نفسا الا ما اٰتٰها٠ سيجعل اللٰه بعد عسرٍ يسراً٠
উচ্চারণ- ওমান কুদিরা আলাইহি রিজকুহু ফাল য়ুনফিক্বু মিম্মা আ-তা-হুল্লাহু লা য়ুকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা মা আ-তা-হা, সাইয়াযআ‘লুল্লাহু বায়’দা উসরিই য়ুছরা। (সূরা তালাকঃ আয়াত-৭) (আমালে কোরআনী)
আটার নং আমল
হামেশা সূরা মুজাম্মিল (পারাঃ ২৯) তিলাওয়াত করলে জীবিকা উপার্জনের পথ বের হয় এবং মাল-দৌলত বৃদ্ধি পায়। (আমালে কোরআনী)
ঊনিশ নং আমল
সূরা আলে-ইমরান নিয়মিত পাঠ করলে ঋণ হতে মুক্তি লাভ হয়। প্রত্যেহ ৭ বার করে পাঠ করলে কর্জ দূর হয় এবং গায়েব হতে রুজির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। (আমালে কোরআনী)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকিয়াহ (পারা- ২৭) তিলাওয়াত করবে, তাঁর অভাব-অনটন হবে না।
বিশ নং আমল
বৃহস্পতিবারে কোনো সৌভাগ্যশালী লোকের কোর্তার টুকরায় এই আয়াত লিখে দোকানে, বাড়ীতে কিংবা বেচা-কেনার জায়গায় লটকিয়ে দিলে আয় খুবই বৃদ্ধি পায়। আয়াত হলো-
قل انَّ الفضلَ بيد اللٰه٠ يؤتيه من يشاء٠ واللٰه واسع عليم٠ يختص برحمته من يشاء٠ واللٰه ذوالفضل العظيم٠
উচ্চারণ- কুল ইন্নাল ফাদলা বিয়াদিল্লাহ, উয়তিহি মাইয়াশায়ু ওয়াল্লাহু ওয়াছিয়ুল আ‘লীম, ইয়াখতাছছু বিরাহমাতিহি মাইয়াশায়ু ওয়াল্লাহু জুল ফাদলিল আ‘জীম) (সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-৭৩,৭৪) (আমালে কোরআনী)
(দ্বিতীয় পর্ব সমাপ্ত)
(৩য় পর্ব পড়তে চাইলে ক্লিক করুন)
যোগাযোগ
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮