আমরা সকলেই চাই সারা বছর স্বচ্ছল থাকতে। কিন্তু এটাতো এতো সহজ ব্যাপার নয়। এজন্য জানতে হবে সারা বছর স্বচ্ছল থাকার আমল। আজ আমরা কোরআন হাদিসের আলোকে সারা বছর স্বচ্ছল থাকার আমল জানার চেষ্টা করব।
পৃথিবীতে সব মানুষ এক নয়। কেউ ধনী আবার কেউ গরীব। মহান আল্লাহপাক সবাইকে একই ক্যাটাগরিতে রাখতে চান না। এটা তারই এক মহান লিলা। কথায় আছে- ইনসানকা দিল লালচি হোতা হ্যায়। হর চিজ পানেকি ইচ্ছা রাখতা হ্যায়। লেকিন হর ইনসান কি কিছমত মে জু লিখা হোতা হ্যায়, উছে অহি মিলতা হ্যায়।
কোরআনে বলা হয়েছে- “ওয়াল্লাহু খাইরুর রাজিক্বীন”। অর্থাৎ আল্লাহই হলেন উত্তম রিজিকদাতা। আল্লাহ যাকে খুশি ইজ্জত দান করেন আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জত করেন। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, ধনী বা গরীব হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ভাল/মন্দ থাকার কোনো সম্পর্ক নাই। আমরা অনেকে মনে করি যে, আল্লাহ আমার উপর খুশি বা সন্তুষ্ট তাই আমাকে ধন দিয়ে ভাল রেখেছেন। আবার কেউ বলে থাকি যে আল্লাহ আমার উপর নারাজ বা অখুশি তাই আমাকে দরিদ্র করে রেখেছেন আর আমি দরিদ্রতার কারণে তিলে তিলে কষ্ট পাচ্ছি ইত্যাদি। মূলত: ধনী বা দরিদ্র হওয়ার সাথে আল্লাহ খুশি বা নারাজ থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। এটাই বিভিন্ন কিতাবে স্পষ্ট ভাষায় এসেছে। বরং ধনী হলে আরো বেশি সমস্যা বলে ইসলামে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনলাইনে একদম ফ্রিতে ইনকার করার পদ্ধতি শিখতে ভিজিট করুন
কাজেই এ ব্যাপারে বেহুদা মনকষ্টে ভোগার কোনো ভিত্তি নেই। পৃথিবীতে জান্নাতবাসী ব্যক্তিরাই অধিকাংশ গরীব ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। এই ধন-সম্পদ একটা মরীচিকা আর আল্লাহ প্রিয় ব্যক্তিরা এই মরীচিকার পেছনে সময় নষ্ট করেন না। যাক তথাপি আমরা স্বচ্ছল জীবন কাঠাতে পছন্দ করি। আজ স্বচ্ছলতা অর্জন করার একটি আমল আলোচনা করব পাঠকদের জন্য।
সারা বছর স্বচ্ছল থাকার আমল নিচে দেয়া হল-
এই গুরুত্বপূর্ণ আমলটি আশুরার দিনের জন্যই নির্ধারিত।
আশুরার দিন যে ব্যক্তি নিচে বর্ণিত সহজ এই আমলটি করবেন, তিনি সারা বছর স্বচ্ছল থাকবেন বলে হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আশুরার দিনে আপন পরিবার-পরিজনের মধ্যে পর্যাপ্ত খানাপিনার ব্যবস্থা করবে, আল্লাহপাক পুরো বছর তার রিজিকে বরকত দান করবেন।’ (তাবরানি: ৯৩০৩)
আরো অনেক হাদিসে আশুরা দিবসে পরিবার-পরিজনের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করার ফযীলত সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে।
যেমন: ইমাম তাবারানীর ‘আল মুজামুল কাবীর’ গ্রন্থে আছে, আশুরার দিন যে তার পরিবারে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করবে সে সারা বছর স্বচ্ছলতায় কাটাবে। অন্য বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহ তাকে সারা বছর স্বচ্ছলতায় রাখবেন।
এ হাদিসের সনদ নিয়ে মুহাদ্দিসীনে কেরামের মধ্যে এখতেলাফ রয়েছে। কেউ কেউ একে দুর্বল বলেছেন আবার কেউ কেউ হাসান বলেছেন। হাসান হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য আর দুর্বল হাদিস ফযীলতের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।
বিভিন্ন সাহাবি থেকে এই হাদিসটি বর্ণিত হওয়ায় আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ) সহ অনেক মুহাক্কিক আলেম হাদিসটিকে গ্রহণযোগ্য ও আমলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। (জামিউস সগির-১০১৯)
সূতরাং সাধারণভাবে এ দিনে পরিবার-পরিজনের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে কোনো অসুবিধা নেই।
দ্রব্যগুণ সংক্রান্ত যাদু আর টোটকা বিদ্যা শিখতে ভিজিট করুন
মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮