দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা প্রয়োগের মাধ্যমে হাজার রকমের রোগ নিরাময় করা সম্ভব। আধুনিক বিশ্বে দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা এর বিকল্প নেই। আদি ও আসল রোগ নিরাময় পদ্ধতির একটি গ্রহনযোগ্য ব্যবস্থা হল ইউনানী বা দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা । কেননা, এই রকমের চিকিৎসায় খরচ লাগে কম অথচ কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আজ আমরা দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা নিয়ে বিশেষ কিছু আলোচনা করব।
পুরুষাঙ্গ শক্ত ও সবল করার ঔষধ
মোরগের বিচি টুকরা করিয়া, সরিষার তৈলে মিলাইয়া উহার মধ্যে এক সপ্তাহ যাবৎ প্রতিদিন কিছু সময় পুরুষাঙ্গ ডুবাইয়া রাখিলে লিঙ্গ শক্ত ও মোটা হইবে।
বেশি সময় সহবাসের ঔষধ
ধুতরার দানা, চকুন্দাবিচি, বাবচি ও ভেরেন্ডার দানার শাঁষ ৫ গ্রাম করিয়া নিয়া ছাগলের দুধের সহিত পিষিয়া একগ্রাম পরিমাণ আন্দাজ করে বড়ি বানাইবে। তারপর স্ত্রী সহবাসের ২ ঘন্টা পূর্বে গো-দুগ্ধসহ একটি বড়ি সেবন করিবে। যে পর্যন্ত কোন প্রকার টক না খাইবে ততক্ষণ পর্যন্ত বীর্য নির্গত হইবে না।
বেশি সময় সহবাসের ঔষধ
কাল কাকের জিহ্বা ছায়ায় শুকাইয়া উহা কোমরে বাধিয়া স্ত্রী সহবাস করিলে উহা না খোলা পর্যন্ত যত সময় ইচ্ছা সহবাস করিতে সক্ষম হইবে।
ঢিলা যৌনাঙ্গের ঔষধ
স্ত্রীলোকের যৌনাঙ্গ ঢিলা হইলে টাটকা খাঁটি মধু যৌনাঙ্গের ভিতরে নিয়মিত মালিশ করিলে কুমারীর মত নব যৌবন লাভ করিবে।
অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
বীর্য গাঢ় করিবার ঔষধ
এক পোয়া ইছবগোল চুর্ণ করিয়া একপোয়া ছাগলের দুগ্ধ এক ছটাক মিছরির সহিত জ্বাল দিয়া এক সপ্তাহ সেবন করিলে পাতলা বীর্য গাঢ় হইবে।
অনিয়মিত ঋতুর চিকিৎসা
পোপী চন্দন, হাড়ঘোড়ার রস, গাওয়া ঘি একত্রে চিনির সহিত ৩/৪ দিন রোজ ৩ বার সেবন করিলে ঋতুস্রাব নিয়মিতভাবে হইবে।
অতিরিক্ত রক্ত স্রাবের চিকিৎসা
দশ গ্রাম অথবা বিশ গ্রাম পরিমাণ আপাংয়ের মূল পেশিয়া পানিসহ ৩/৪ দিন রোজ ২ বার সেবন করিলে, অতিরিক্ত রক্তস্রাব বন্ধ হইবে।
গর্ভাবস্থায় বমির চিকিৎসা
মিছরি অথবা মধুর সাথে চিরতার গুড়া মিশাইয়া ৪/৫ দিন একবার করিয়া সেবন করিলে গর্ভিনীর বমি বন্ধ হইবে।
স্তন বেদনার তদবীর
হলুদের গুড়া ধুতরা পাতার রসে মিলাইয়া স্তনে প্রলেপ দিলে বেদনা দূর হইবে।
শ্বেত প্রদরের চিকিৎসা
(ক) গুলঞ্চ চূর্ণ, আমলকী চূর্ণ ও বাসক পাতার রস চিনিসহ ৫/৭ দিন সেবন করিলে শ্বেত প্রদর আরোগ্য হয়।
(খ) আমলকীর বিচি ভিজাইয়া পিষিয়া মধু ও চিনিসহ ৬/৭ দিন সেবন করিলেও শ্বেত প্রদর ভাল হয়।
রক্ত প্রদরের চিকিৎসা
(ক) চাপানটের মূল ও জবাফুলের কুঁড়ি একত্রে পিষিয়া ৫/৭ দিন সেবন করিলে রক্ত প্রদর ভাল হয়।
(খ) আমলকী চূর্ণ ও চাম্পাকলা দুগ্ধের সহিত সেবন করিলেও রক্তপ্রদর আরোগ্য হয়।
(গ) মধুর সহিত ডুমুরের রস মিলাইয়া সেবন করিয়া দুগ্ধ দিয়া ভাত খাইলে রক্ত প্রদর দূর হয়।
বন্ধাত্ত্ব দূর করিবার চিকিৎসা
আমানির সহিত জবাফুল পিষিয়া সেবন করিলে বন্ধাত্ত্ব দূর হয়। ওলট কম্বলের মূল গোলমরিচসহ পিষিয়া সেবন করিলেও বন্ধাত্ত্ব দূর হয়।
সুতিকার চিকিৎসা
বেনামূল, পাতলা, শ্বেত পাপড়ী, গুলঞ্চ, হলুদ, ধনিয়া রক্তচন্দন অথবা যৈনের কাথ সেবন করিলে সুতিকা ভাল হয়। ইহাচাড়া পুরাতন পুদিনার মূল কার্পাসের মূল অথবা ইক্ষুর মূল পিষিয়া সেবন করিলে সুতিকা রোগ আরোগ্য হয়।
ধজভঙ্গ রোগের ঔষধ
দৈনিক ৮/১০ ফোঁটা করিয়া খাঁটি নাড়িকেল তৈল খাইলে ধজভঙ্গ রোগ ভাল হয়। অথবা আমলকীর গুড়া দুধের সহিত জ্বাল দিয়া প্রত্যহ নিয়মিত সেবন করিলে ধজভঙ্গ রোগ আরোগ্য হয়।
নব যৌবন শক্তি হালুয়া
যাহাদের বীর্য স্বল্প সহবাসে নির্গত হইয়া যায়, স্ত্রী সহবাসে তৃপ্তি পায়না তাহারা এই হালুয়া তৈরী করিয়া সেবন করিলে নবযৌবন লাভ করিবে। দেশী হরিতকী, বয়ড়া, আমলকী, বিচিছাড়া খুরমা, ছলব মিশ্রি, মেন্দাকাঠ, শ্বেত মুসলী, গক্ষুর কাটা, লাল মুসলী, জটামাশী, আলকুশীবীজ, শুকনা পানিফল, পদ্মবিচির শাস, মিষ্টি উন্দ্রযব, তেতুল বিচির শাস, প্রত্যেকটি সাত গ্রাম করিয়া। ডালিমফুল, ভাংবিচি, আউজন কোরাসানী, জীরা, তোখমে মোরেদ, ধনিয়া, বংশলোচন, বটপাতার মুইন, রুমী মোস্তগী, সিতাসুপারী, বীজবন্দ ডাটার দানা, লোধ, ভূনা স্পন্দ প্রত্যেকটি সাড়ে তিন গ্রাম করিয়া। তজ অশ্বাগন্ধা, ভুনা তালমাখানা, সমন্দর সুক চিনিয়া গোন্দ, নাগর মুথা ধাইফুল, তুলার কস, বাবলাফুর শতমুল কেওড়া বিচি প্রত্তেকটি এক গ্রাম করিয়া সমস্ত দ্রব্যগুলি চুর্ণ করিয়া উহার তিনগুণ মিশ্রির শিরায় মিশাইয়া হালুয়া তৈরী করিয়া, প্রত্যহ চা চামচের এক চামচ সেবন করিয়া এক গ্লাস গরম দুধ পান করিবে। প্রথম পর্ব সমাপ্ত
মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮
২ Comments
Leave a Reply১৪ Pings & Trackbacks
Pingback:গোপনীয় কাজের সুন্নাত তরিকা জেনে নিতে পারেন এখনই - sylhet786
Pingback:সাহাবীদের মর্যাদা সম্পর্কে জানতে চাইলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য - sylhet786
Pingback:দরিদ্র হওয়ার কারণ ও তার প্রতিকার কিভাবে করবেন - sylhet786
Pingback:স্বচ্ছল থাকার আমল শিখতে পোষ্টটি এখনই পড়ে নিন। - sylhet786
Pingback:কোরবানীর ৪টি মাসআলা নিয়ে আজকের বিশেষ আয়োজন - sylhet786
Pingback:তেলেসমাতে হায়ওয়ানাত ৪র্থ পর্ব বা প্রাণগুণের যাদু শিখুন - sylhet786
Pingback:মুসলমানদের জিহাদের সাফল্য (কাফের-মুশরিকদের সাথে যুদ্ধের সময়) - sylhet786
Pingback:ধর্মযুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর বিজয় কিভাবে হত জেনে নিন - sylhet786
Pingback:ফাজায়েলে আমল বা বিভিন্ন পরীক্ষিত আমল শেখে নিন - sylhet786
Pingback:দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা (৩য় পর্ব) - sylhet786 ইসলামী জ্ঞানকোষ
Pingback:হাই ব্লাড প্রেশার এর কারণ ও তার চিকিৎসা - sylhet786 ইসলামিক বাংলা ব্লগ
Pingback:পেট থেকে গ্যাস দূর করার ঘরোয়া টোটকা - sylhet786 ইসলামিক বাংলা ব্লগ
Pingback:করোনা ভাইরাস ও কিছু প্রয়োজনীয় কথা - sylhet786
Pingback:করোনা ভাইরাস ও কিছু প্রয়োজনীয় দোয়া-দুরূদ - sylhet786