আমরা অনেকেই জানি না কতিপয় গোপনীয় কাজের সুন্নাত তরিকা। কতিপয় গোপনীয় কাজের সুন্নাত তরিকা জেনে রাখা মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য অতিব জরুরি। নিচে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোকপাত করা হল।
১. বিবাহের পর যখন স্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ হয়, তখন প্রথমে বিবির কপালের চুল ধরে এই দোয়া পড়া সুন্নাত। (আবু দাউদ নং-১৮৪৫)
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আছআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরি মা জাবালতা হা আলাইহি ওয়া আজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতা হা আলাইহি।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এই স্ত্রীর যাবতীয় কল্যাণ কামনা করছি এবং যে সকল কল্যাণ দিয়ে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর আপনার নিকট আশ্রয় কামনা করছি এই স্ত্রীর অকল্যাণ হতে এবং যে সকল অকল্যাণ দিয়ে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
২। স্ত্রীর সাথে খুশিবাসি, হাসি মজাক করা সুন্নাত। (তিরমিযী শরীফ)
৩। দুই বা ততোধিক স্ত্রী থাকলে সকলকে সমানভাবে রাখতে হবে অন্যথায় হাশরের ময়দানে অর্ধাঙ্গ অবস্থায় উঠতে হবে। (ইবনে মাজাহ শরীফ-১/১৪১)
৪। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার গোপনীয় বিষয়াদি অপরের কাছে বর্ণনা করা আল্লাহর নিকট অত্যন্ত অপছন্দনীয়। (মুসলিম শরীফ)
৫। স্ত্রী সহবাসের পূর্বে এই দোয়া পড়া। অন্যথায় শয়তানের বীর্য, স্বামীর বীর্যের সঙ্গে গর্ভাশয়ে প্রবেশ করে, যার দ্বারা সন্তান শয়তানের স্বভাব বিশিষ্ট হয়। (বুখারী শরীফ, হাদিস নং-৩০৩১)
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জাননিবনাশ শায়তানা ওয়া জাননিবিশ্ শায়ত্বনা মিম্ মা-রাজাকতানা।
৬। হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। তবে এ অবস্থায় নাভী হতে হাঁটু পর্যন্ত এতটুকু ছাড়া বাকী অঙ্গ ব্যবহার করা স্পর্শ করা জায়েয। (হেদায়া)
৭। যে কাপড় পরে স্ত্রী সহবাস করা হয় সেই কাপড় পাক, তবে যদি কোন অংশে নাপাকী লাগে সে অংশটুকু ধুয়ে ফেললে সে কাপড়ে নামায পড়া যায়। (আবু দাউদ শরীফ)
৮। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, মহিলারা বেগানা অন্ধ পুরুষের সাথেও পর্দা করতে হবে। (তিরমিযী শরীফ)
৯। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে পুরুষ বেগানা মহিলাকে দেখে এবং যে মহিলা বেগানা পুরুষকে দেখে উভয়ের উপরই আল্লাহর অভিশাপ। (মিশকাত)
১০। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, পুরুষ হয়ে মেয়েলী পোশাক পরিধানকারীকে আল্লাহ তা’আলা লানত করেছেন। (আবু দাউদ ৩৫৭৫/ ৩৫৭৬)
ভাল ছাত্র হওয়ার বিজ্ঞানসম্মত পরামর্শ জানতে চাইলে ভিজিট করুন
১১। অনুরূপভাবে মহিলা হয়ে যারা পুরুষের মত পোশাক পরিধান করে কিংবা পুরুষের মতো চলাফেরা করে তাদের প্রতিও রাসূলুল্লাহ (সা) লানত করেছেন। (আবু দাউদ নং-৩৫৭৫/৩৫৭৬)
১২। রাসূলুল্লাহ (সা) মহিলাদেরকে পাতলা কাপড় পরিধান করে বেগানা পুরুষের সামনে যেতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী শরীফ)
১৩। রাসূলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন, নারীদের জন্য অর্ধেক হাতাওয়ালা কোর্তা কিংবা কামিজ পরিধান করা গোনাহ। শরীরের চামড়া দেখা যায় এ ধরনের পাতলা পোশাক পরিধানকারী মহিলাকে কিয়ামতের দিন উলঙ্গ অবস্থায় উঠানো হবে। (মুসলিম শরীফ-৩৯৭১)
১৪। এক মহিলা অন্য মহিলাকে আসসালামু আলাইকুম বলা ও মুছাফাহ্ করা সুন্নাত। এই সুন্নতের উপর আমল করা উচিত। (বায়হাকী)
১৫। রাসূলুল্লাহ বলেছেন, যে সকল নারীরা পাতলা পোশাক পরে অংহকারে হেলে দুলে চলে এবং অন্যের চুল দ্বারা খোপা বড় করে, তারা জাহান্নামী। তারা জান্নাতের খুশবুও পাবে না । (মুসলিম-৩৯৭১)
১৬। রাসূলুল্লাহ এরশাদ করেছেন, বেগানা পুরুষদের মধ্যে দেবর মৃত্যূতুল্য। তাই দেবর থেকে সর্বদা দূরে থাকা উচিত। (কারণ দেবর ভাবী একই ঘরে দেখা সাক্ষাত হতে থাকলে অঘটন ঘটার আশংকা খুব বেশি থাকে) (বুখারী শরীফ-৫২৩২)
এই কয়েকটি গোপনীয় কাজের সুন্নাত তরিকা ভালভাবে পাঠ করে স্বরণে রাখা আবশ্যক বলে আমরা মনে করি।
ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সঠিক দিক নিদের্শনা জানতে ভিজিট করুন
যোগাযোগ
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮