ধাতু দুর্বলতার এলাজ: প্রস্রাবের সময় বা প্রস্রাবের পর সাদা পাতলা বীর্য বের হলে ধাতু দুর্বলতা সৃষ্টি হয়। এই ধরনের সমস্যাকে ধাতু দূর্বলতা বলে। এজন্য ধাতু দুর্বলতার এলাজ জানা থাকা সকল যুবকদের জন্য জরুরি। আসুন জেনে নেয়া যাক ধাতু দূর্বলতার কারণ ও ধাতু দুর্বলতার এলাজ।
৩০টি আজব দ্রব্যগুণের টোটকা যাদু শিখতে ভিজিট করুন
অধিক বীর্যপাত হওয়ার হওয়ার কারণে শরীরে অলসতা ও ধাতু দূর্বলতা দেখা দেয়। এমনকি কোমরে ব্যথাও অনুভব হয়। সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হলো মাথার ব্রেণে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। চেহারা শুকিয়ে যায়। শারীরিক দুর্বলতাও ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায়। কোনো কাজেই ভালো লাগে না। সব কাজেই বিরক্তি বিরক্তি ভাব দেখা দেয়। সব সময় মনে চায় যদি শুয়ে থাকতে পারতাম। মহিলাদের প্রতি যৌন আকর্ষণ হ্রাস পেতে পেতে এক সময় তাদের প্রতি কোনো চাহিদাই জাগে না। কারো সাথে মেলা-মেশা, কথাবার্তা বলতেও ভালো লাগে না। একাকী ও নির্জনতা পছন্দ হয়। কারো কারো অবস্থা এমন করুণ হয়ে দাড়াঁয়, যার কারণে আত্মহত্যা করতে মন চায়। এসব কেবল ধাতু দুর্বলতার কারণে হয়ে থাকে।
ধাতু দুর্বলতা রোগের কারণ
ধাতু দুর্বলতার অনেক কারণ আছে। সেগুলির মধ্যে নিম্মোক্ত কারণগুলো বেশিরভাগ লোকদের মাঝে পাওয়া যায়-
১. উত্তেজনার বশিভুত হয়ে হস্তমৈথুন করে বীর্যপাত ঘটানো।
২. সমকামিতার মাধ্যমে বীর্যপাত ঘটানো।
৩. সব সময় পেটের অসুখ লেগে থাকার কারণে ধাতু দূর্বলতা হয়।
৪. কখনো কখনো অধিক গরম ও বিলম্বে হজম হয় এমন খাদ্য খাওয়ার দ্বারা।
৫. ভরাপেটে সহবাস করার দ্বারা ধাতু দূর্বলতার দেখা দিতে পারে।
৬. অশ্লীল, যৌন উদ্দীপক ছবি দেখার দ্বারা বীর্যপাত হয়ে থাকে। আর এসব কারণেই বেশিরভাগ ধাতু দুর্বলতা রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ধাতু দুর্বলতার এলাজ (কোরআনী তদবির)
১. যদি কেহ ধাতু-দুর্বলতা রোগে আক্রান্ত হয়, তাহা হইলে সূরা হুজুরাত তিনবার পড়িয়া পানিতে দম করিয়া একচল্লিশ দিন রোগীকে পান করাইবেন। ইনশাহ আল্লাহ রোগ হইতে পরিত্রাণ পাইবেন। (এলাজে কোরআনী, পৃষ্ঠা-৮৮)
২. কেহ ধাতু-দুর্বলতা রোগে আক্রান্ত হইলে আছরের নামাযের পরে প্রথমে ও শেষে সাতবার দুরূদ শরীফসহ সূরা তাহরীমের এই আয়াতটি একশতবার পড়িবেন। ইনশা আল্লাহ উপকার হইবে।
ربنا اتمم لنا نورنا واغفرلنا٠ انَّكَ علی كل شئٍ قدير٠
(এলাজে কোরআনী, পৃষ্ঠা-৮৮)
৩. প্রতিদিন মাগরিবের নামাযের পরে পবিত্রাবস্থায় সূরা ফাত্বির একুশবার (২১ বার) পড়িয়া ইসুবগুলের ভুসিতে দম করিবেন। অতঃপর সেই ভুসি দ্বারা শরবত বানাইয়া রোগীকে খাওয়াইবেন। ক্রমাগত একুশ দিন এই আমল করিলে ইনশাহ আল্লাহ ধাতু-দুর্বলতা রোগ সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হইবে।
ধাতু দুর্বলতার এলাজ (দ্রব্যগুণন চিকিৎসা)
১. প্রত্যহ সকালে অর্ধ পোয়া পরিমাণ ছোট পিয়াঁজ কুচি লবন চূর্ণসহ চিবাইয়া খেয়ে আধা সের পরিমাণ কাচাঁ দুধ পান করলে ২/৩ সপ্তাহ পর শুক্র গাড় ও তিশক্তি বৃদ্ধি হয় এবং ধাতু দূর্বলতা দূর হবে।
২. রাত্রে সামান্য একটু জলে অর্ধ ছটাক পরিমাণ ইছুবগুল ভিজিয়ে রাখবেন। পরদিন সকালে এর সাথে ১ পোয়া ছাগলের কাচাঁ দুধ ও কিছু চিনি মিশিয়ে বাসি পেটে সেবন করবেন। এ ঔষধ নিয়মিত ২/৩ সপ্তাহ সেবন করলে বলবীর্য অত্যাধিক বৃদ্ধি পাবে এবং ধাতু দূর্বলতা আস্তে আস্তে কমে আসবে।
৩. শুকনো আমলকী ৫০ গ্রাম উত্তমরুপে চূর্ণ করে পরিষ্কার কাপড়ে ছেকে নিতে হবে এবং কিছু পরিমাণ আমলকি পিষে রস বের করে নিতে হবে। ঐ আমলকী রসের সাথে আমলকির গুড়া উত্তমরুপে মিশিয়ে অল্প আঁচে শুকিয়ে পুনরায় রৌদ্রে শুকিয়ে শুষ্ক করে নিতে হবে। এবার ঐ চূর্ণের সাথে মিছরি গুড়া করে পরিমাণ মতো মধু নিয়ে প্রত্যহ সকালে নিয়মিত সেবন করলে নপুংসকতা নাশ হয়।
৪. তিন তোলা পরিমাণ ছোলাবুট রাত্রে ধুইয়ে ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম হতে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খালী পেটে চিবিয়ে খাবেন। এভাবে একাধারে অন্তত একমাস খেলে পরে ধাতু দুর্বলতা রোগ আরোগ্য হয়।
৫. কৃষ্ণতিলা ও আমলকী সমপরিমাণে চূর্ণ করে উত্তমরুপে ছেকে নিবেন তারপর প্রত্যহ রাত্রে শয়নকালে ১ তোলা পরিমাণ চূর্ণ মুখে দিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা জল পান করবেন। এভাবে ২১ দিন নিয়মিত পান করলে এই গোপন সমস্যার সমাধান হবে।
৬. আম, জাম, ও তেঁতুলের বীজ সমান পরিমাণে নিয়ে উত্তমরুপে চূর্ণ করতে হবে। প্রত্যহ রাত্রে শয়নকালে ১ তোলা পরিমাণ চূর্ণ মুখে দিয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা জল পান করবেন। এই ভাবে ৩ সপ্তাহ সেবন করলে আপনার ধাতু দূর্বলতাসহ গোপন সমস্যা সমাধান হবেই।
৭. প্রতি রাতে শোয়ার পূর্বে এক কোয়া পিয়াজ দশটি কালো জিরার সাথে চিবিয়ে খেলে ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত যৌবন শক্তি বহাল থাকে।
৮. পুরাতন আম গাছের ছাল আগের দিন আধা গ্লাস পরিমাণ জলে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালী পেটে সমপরিমাণে গরুর কাচাঁ দুধ দিয়ে পান করলে আপনার গোপন সমস্যা ভালো হবে এবং ধাতু দূর্বলতাও দূর হবে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন ঔষধের নাম শিখতে ভিজিট করুন
যোগাযোগ: ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮