খতমে খাজেগানের ফজিলত : কোরআন তিলাওয়াত, দুরুদ শরীফ ও বিভিন্ন নেক আমলের ওযিফা সম্মিলিতভাবে পড়া হয়। যা বিচ্ছিন্নভাবে পড়া দোয়া-দুরুদের সমাহার। খতমে খাজেগানের ফজিলত জানতে পেরে আওলিয়ায়ে কেরামগণ যুগ যুগ ধরে পড়ে আসছেন। এ খতমের উছিলায় অনেক হাজত পুরণ হয়েছে এবং হচ্ছে।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়: খতমে খাজেগানে পাঠ করা হয় কোরআনে কারিমের সুরা এখলাছ। হাদিস শরীফে বলা হয়েছে: সুরা এখলাস তিনবার পাঠ করা হলে এক কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। কিন্তু এই খতমে সুরা এখলাস শতাধিক বার পাঠ করা হয়। খতমে খাজেগানে পাঠ করা হয় মহান আল্লাহর সিফাতী নামসমূহ। আল্লাহর ৯৯টি সিফাতি নাম রয়েছে। এই খতমে আল্লাহর উল্লেখযোগ্য নামগুলো পাঠ করা হয়। খতমে পাঠ করা হয়: ‘ইয়া হায়্যু, ইয়া কাইয়্যুম’। যা নবী করীম (সা:) বদরের যুদ্ধের ময়দানে একটি গাছের নিচে নামাযরত অবস্থায় সেজদায় পাঠ করেছিলেন। যার কারণে মুসলমান সৈনিকদের মধ্যে তদ্রা আসলো এবং প্রশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। এ ধরণের দোয়া দিয়ে সমস্ত খতমে খাজেগান সাজানো।
হযরত মুসা (আ) ও রুটি চোরের গল্প পড়তে ভিজিট করুন
বিশ্ব বিখ্যাত মুসলিম সাধক হযরত ছৈয়্যদ মুহাম্মদ হক্কী রহ. তার সংকলিত প্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য কিতাব “হাজিনাতুল আসরার ওয়া জলিলাতুল আজকার” নামক কিতাবে পবিত্র খতমে খাজেগান শরীফের উৎপত্তি,পাঠের ফজিলত ও নিয়মসহ একটি অধ্যায় রচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন যে- সমস্ত মাশায়েখে কেরাম এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, খতমে খাজেগান শরীফের বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রসিদ্ধ ইমাম হযরত জাফর ছাদেক (রহ), সুলতানুল আরেফিন হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহ), ছৈয়্যদ আবুল হাছান খেরকানী (রহ) শায়েখদের মাধ্যমে উদ্ভাবিত ও প্রচলিত। আর এই খতম সকল উদ্দেশ্য পূরণ ও সকল সমস্যা সমাধান করার জন্য বিশেষভাবে সমাদৃত।
পৃথিবীর শ্রেষ্ট উলামা-মাশায়েখগণ সকল সমস্যা সামাধানের উদ্দেশ্যে, বালা-মুসিবত দূরীকরণে, শত্রু ও হিংসুককে ধ্বংস করণে, অধিক সম্মান ও মর্যাদা লাভের উদ্দেশ্যে, আল্লাহর নৈকট্য অজর্নে এবং মহত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের অতুলণীয় রহস্যাদির উম্মোচনে এ মহত্বপূর্ণ নিয়মনীতিতে পুরিপূর্ণ খতম অর্থাৎ খতমে খাজেগান শরীফ ব্যবহার করতেন।
নিশ্চয়ই নিয়ম-নীতিতে মেনে খতমে খাজেগান পাঠ করলে চারদিন অতিক্রম করার পূর্বে মনের আশা পূর্ণ হবে। অথবা সাত দিন পর্যন্ত নিয়মিতভাবে খতমে খাজেগান তেলাওয়াত করলে অসীম উপকার সাধিত হবে। আর এই খতম (খতমে খাজেগান) অধিক পরীক্ষিত।
যারা শ্রেষ্টত্বের সাথে খতমে খাজেগানের সাথে সংশ্রব রাখবে তারা শ্রেষ্ঠত্ব এবং সৌভাগ্য অর্জন করবে। এটা হল ত্বরিকত পন্থীদের শ্রেষ্ঠ অজিফা।
আবু সাইদ খাদেমী (রহ) বলেন, খতমে খাজেগানের শেষে মাশায়েখে কেরামের ছিলছিলাহ্ তথা শজরা শরীফ অজিফা আকারে খতমের শেষান্তে পাঠ করবে। এতে খতম অতি দ্রুত কবুল হবে।
খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম জানতে চাইলে নিচের লাল রঙের লেখার উপর ক্লিক করেন।
খতমে খাজেগান পড়ার নিয়ম শিখতে ভিজিট করুন
যোগাযোগ: মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮