তেলেসমাতে হায়ওয়ানাত ৪র্থ পর্ব তথা শেষ পর্ব। তেলেসমাতে হায়ওয়ানাত ৪র্থ পর্ব লেখার পর প্রয়োজন মনে হলে ৫ম পর্ব লেখা হতে পারে।
ইমাম কামাল উদ্দিন দামেরী (রহ) তার আরাবি কিতাব ‘হাইয়াতুল হায়ওয়ান’ নামক গ্রন্থে প্রাণীদের উপকারীতা ও গুণাগুণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। আমি কেবল প্রাণীদের তেলেসমাত সংক্রান্ত কতিপয় অবাক করা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
১৭. যদি কেউ কাউকে ভালবাসে তাহলে সে উভয় হাত পায়ের ময়লা ধৌত করে যাকে ভালবাসে তাকে পান করালে তার সাথে ভালবাসা হয়ে যাবে।
১৮. কারো সাথে ভালবাসা স্থাপন করতে হলে নিজের জামার পকেট ধৌত করে পান করিয়ে দিলে তার সাথে অত্যন্ত ভালবাসা জম্মিবে।
১৯. কোনো পুরুষ যদি এ আকাংখা করে যে, তার স্ত্রী কিংবা অমুক মহিলার সাথে আমি ছাড়া আর অন্য কোনো ব্যক্তি মেলামেশা করবে না তাহলে উক্ত মহিলার চিরুনির চুল অথবা তার অন্য কোনো চুল আগুনে পুড়ে ছাই সঙ্গমের সময় উক্ত চাই নারীর লজ্জাস্থানে রেখে সঙ্গম করলে মেয়েটি এমন আরাম বোধ করবে যে, সে আর অন্য কোনো পুরুষের কামনা করবে না। ইহা পরীক্ষিত।
২০. মানুষের বীর্য সাধারণত গরম হয়ে থাকে, কোনো ধবল রোগীকে লাগালে তা ভাল হয়ে যাবে।
২১. যদি কোন মহিলা তার দুধ বন্ধ করতে চায় তাহলে সামান্য মেথী বেটে পানিতে মিশিয়ে স্তনে প্রলেপ দিলে দুধ বন্ধ হয়ে যাবে।
২২. যদি কোনো মহিলা তার দুধকে বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে চিরতা (তেঁতো ঔষধ বিশেষ) স্তনে লাগালে আল্লাহর রহমতে দুধ বৃদ্ধি পাবে। ইহা পরিক্ষিত।
২৩. কোনো মেয়ে লোকের স্তনের দুধ মধুতে মিশ্রিত করে পান করলে মুত্র থলির পাথর ভেঙ্গে যায়।
২৪. হাত পায়ের নখ কেটে ভস্ম করে তা পানি দিয়ে যাকে খাওয়াবে সেই বশীভূত হয়ে যাবে।
দ্রব্যগুণ সংক্রান্ত যাদু আর টোটকা বিদ্যা শিখতে ভিজিট করুন
২৫. বন্ধ্যাত্ব পরিচয়ের উপায়ঃ বিজ্ঞ চিকিৎসকগণ বলেন, নারী লোকের বন্ধ্যাত্ব পরিচয়ের পন্থা হল এই যে, সামান্য তুলাতে একটি রসুন নিয়ে তা নারীর লজ্জাস্থানে সাত ঘন্টা রেখে দিলে পরে যদি তার মুখে রসুনের গন্ধ করে তাহলে তার চিকিৎসা ঔষধ দ্বারা করলে সন্তান হবে। কিন্তু যদি কোনো গন্ধ না বের হয় তাহলে চিকিৎসার অনুপযোগী বুঝতে হবে। ইমাম রাজির দর্শন মতে ইহা পরিক্ষিত।
২৬. বাগডাসার (বাগাডাইয়া) জিহবা যদি কারো ঘরে রাখা যায় তাহলে ঐ ঘরে সব সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকবে।
২৭. যদি কোনো স্ত্রীলোক বন্ধ্যা হয়। তাহলে বাজ পাখির বীট পানির সাথে মিশ্রিত করে পান করলে গর্ভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২৮. তোতা পাখির রক্ত শুকিয়ে পাতলা করে নিক্ষেপ করলে দুই বন্ধুর মধ্যে বৈরীতা সৃষ্টি করে।
২৯. যদি কোনো শিশু তোতলামী করে তাহলে তোতার গোস্ত খেলে তোতলামী দূর হয়ে যাবে।
৩০. তোতা পাখির জিহবা খেলে কথার মধ্যে পরিচ্ছন্নতা, বাগ্মীতা, মাধুর্যতা, কথার শক্তিতে বীরত্ব সৃষ্টি হয়। তোতা পিত্ত জিহবার ভার দূর করে।
৩১. উটের চর্বি অর্শ রোগের উপকার করে। লোম বহুমুত্র রোগীর রানে বেধে দিলে বেশ উপকার হয়।
৩২. উটের ঘামে গম মিশিয়ে চড়ুই পাখিকে খাইয়ে দিলে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাবে।
অনলাইনে একদম ফ্রিতে ইনকার করার পদ্ধতি শিখতে ভিজিট করুন
৪র্থ পর্ব সমাপ্ত
যোগাযোগ: মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮, nazruld@yahoo.com