দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা প্রয়োগ করে হাজারো মানুষের উপকার করা সম্ভব। দ্রব্যগুণ ও টোটকা দ্বারা হরেক রকম রোগের চিকিৎসা করা যায়। লোকমান হাকিম, হাকিম জালিয়ানুছ, হাকিম দুবান, দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা করে বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কাজেই আজকের আলোচনার ৩য় পর্বে দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসার ব্যাপারে আলোকপাত করব।
উলুক টোটকা (বশিকরণ)
আর্দ্রা নক্ষত্রে নদীতে ডুব দিয়ে কিছুটা বালি তুলে আনতে হবে। ওটা যার মাথায় ছিটিয়ে দেয়া যাবে সেই বশীভূত হবে।
শারবী তন্ত্র (বশিকরণ)
অশ্লেষা নক্ষত্রে দেবদারুর কাঠ এনে ছাগলের প্রস্রাবে ভিজিয়ে কুটে-পিষে শুকিয়ে নিতে হবে। যাকে আকষর্ণ করা দরকার তার মাথায় এর গুড়ো ছিটিয়ে দিলে মনোবাজ্ঞা পূরণ হবে।
উলুক তন্ত্র (বশিকরণ)
চিতার ভষ্ম, বচ, কুট, কেশর ও গোরোচনা এগুলি সমান ভাগ নিয়ে চুর্ণ করে যদি কোনো স্ত্রীর মাথায় ছিটিয়ে দেয়া যায় তবে সে প্রয়োগ কর্তার বশীভূত হবে।
পকেট খালি না থাকার তন্ত্র
প্যাঁচার ঘাড়ের হাড় ও কাকের ঘাড়ের হাড় এই দুইটি হাড় একত্রে তাবিজে ভরে সবর্দা নিজের পকেটে রাখলে পকেট কখনো খালি হয় না।
অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
যে মেয়েলোকের সন্তান মরিয়া যায়
যে মেয়েলোকের সন্তান জীবিত থাকে না, তাহার জন্য সোমবার দিন দুপুর বেলায় জবাইন ও গোল মরিচের উপর চল্লিশ বার সূরা “ওয়াশ শামস্” পড়িয়া ফুঁক দিবেন। প্রত্যেকবার দুরূদ শরীফ পড়িয়া সূরা শুরু করিবেন এবং দুরূদ শরীফ পড়িয়া শেষ করিবেন। মেয়েলোক সন্তান গর্ভধারণ করার পর হইতে সন্তানের দুগ্ধ ত্যাগ পর্যন্ত প্রত্যেক দিন খাইবেন।
দাহ রোগের ঔষধ
শরীরের দাহ রোগের জন্য ক্ষেত পাপড়ির কাথ মধুসহ কয়েক বার খাইলে দাহ রোগ আরোগ্য হয়।
কর্ণ রোগের ঔষধ
কর্ণ রোগের জন্য রসূনের রস সামান্য গরম করিয়া কানের ভিতরে অল্প পরিমাণ দিলে আরোগ্য হয়। আদার রস গরম করিয়া কর্ণে দিলেও আরোগ্য হয়। ইহা ছাড়া একটু আফিং ও ফিটকারী লেবুর রসে মিলাইয়া কবুরের পগাড় দিয়া কানে লাগাইলে কান পাকা ও কম শুনা ভাল হইবে।
নির্বাচনে জয় লাভ
প্যাঁচার মুন্ডুর হাড় ও কাকের মুন্ডুর হাড় এই দুইটিকে এক সঙ্গে নিয়ে চিতার আগুনে জ্বালিয়ে ছাই করে নিবে। এই ছাইকে নিজের কপালে তিলকরূপে ধারণ করলে নির্বাচনে জয়লাভ হয়।
চক্ষুরোগের ঔষধ
বট পাতার টাটকা কস চক্ষে দিলে চক্ষু রোগ আরোগ্য হয়। মেয়েলোকের কাথ লাগাইলে কান জ্বালা ও কম শুনা ভাল হইবে।
স্ত্রীকে আজীবনের জন্য বশিভূত করা
পূষ্য নক্ষত্রে ধোপার পায়ের মাটি এনে বাড়িতে রেখে দিবে। তারপর রবিবার দিন সন্ধার সময় তার থেকে কিছুটা স্ত্রীর মাথায় দিলে সে আজীবনের জন্য বশীভূত হবে।
গর্ভ রোধের চিকিৎসা
তন্তুল চূর্ণ, খোসাহীন বিরঙ্গ ও সোহাগার খৈ চূর্ণ এবং পিপুল চূর্ণ সমপরিমাণ লইয়া দৈনিক পাঁচ গ্রাম করিয়া ৪/৫ দিন সেবন করিলে গর্ভরোধ হইবে।
দ্রুত আকর্ষণ করা
পঞ্চমী তিথিতে হোহুয়ে গাছের শিকড় তুলে আনতে হবে। এটা চুর্ণ করে পানে দিয়ে যাকে খাওয়াবে সেই কাছে চলে আসবে।
দ্রুত বশিকরণ
হরতাল ধাতুর সহিত কিছু বাঁদরের পায়খানা (মল) মিশ্রিত করিয়া যদি কোনো স্ত্রী লোকের চুলে লাগাইয়া দেওয়া যায় তবে সে সঙ্গে সঙ্গে তাহার প্রতি আসক্ত হইবে। দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা ৩য় পর্ব সমাপ্ত
দ্রব্যগুণ ও টোটকা চিকিৎসা ১ম পর্ব পড়তে ভিজিট করুন
মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮
১ Comments
Pingback: দরবেশ ও বাঘের গল্প (ইসলামী কিতাব থেকে নেয়া)