in ,

ধর্মযুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর বিজয় কিভাবে হত জেনে নিন

ধর্মযুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর বিজয় সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন। অল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়েও মুসলমানরা অধিক কাফির সংখ্যার সাথে বিজয়ী হতেন। ধর্মযুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর বিজয় পরিসংখ্যান জেনে নিন।

আল্লাহর রাস্তায় যারা যুদ্ধ করেন, আল্লাহ্ তাদের সাহায্য করেন। দেখুন এর প্রমান।

জিহাদের নাম –                 মুসলিম সৈন্যসংখ্যা-             কাফিরদের  সৈন্যসংখ্যা

বদরের যুদ্ধ –                       ৩১৩                                   ১ হাজার

উহুদের যুদ্ধ-                        ৭০০জন                               ৩ হাজার।

খন্দকের যুদ্ধ-                       ৩ হাজার                            ১০ হাজার।

খায়বার যুদ্ধ-                      ১ হাজার, ৪শ                         ২০ হাজার।

মক্কা বিজয়-                       ১০ হাজার                             ৬০ হাজার।

মূতার যুদ্ধ-                        ৩০ হাজার                             ২ লক্ষ।

তাবুকের যুদ্ধ-                    ৩৫ হাজার                              ১ লক্ষ।

স্পেন বিজয়-                      ৭ হাজার                               ১ লক্ষ।

তুর্কি সীমান্ত যুদ্ধ-                 ৪০ হাজার                             ২ লক্ষ।

কাদেসিয়ার যুদ্ধ-                ৩০ হাজার                              ১ লক্ষ ২০ হাজার

সিন্দু বিজয়-                     ৬ হাজার                               ৫০ হাজার।

বঙ্গ বিজয়-                      ৩১৩ জন                                ১২ হাজার।

চিতোর বিজয়-                   ৫ হাজার                                 ৮ হাজার।

পানি পথের যুদ্ধ-                 ৫৩ হাজার                                ৩ লক্ষ।

দ্রব্যগুণেন টোটকা যাদু বিদ্যা শিখতে ভিজিট করুন

ইতিহাস পড়ুন, ইতিহাস জানুন এবং এর থেকে শিক্ষা গ্রহন করুন।

বিভিন্ন ধর্ম যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর সৈন্য সংখ্যার পরিমাণ

উপরের প্রত্যেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মুসলমানরা কম সংখ্যক লোক নিয়ে অধিক সংখ্যক কাফিরের উপর জয়লাভ করেছে। কিন্তু এখন, মুসলমানরা অধিক সংখ্যক লোক হলেও সামান্য কাফিরদের কাছে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়েই যাচ্ছে। এর কারণ, আগেকার মুসলমানরা শুধু শারীরিক শক্তি দিয়ে জিহাদ করতেন না, জিহাদ করতেন ঈমানী শক্তি ও আল্লাহ তা’য়ালার রহমত বলে।

কিন্তু বর্তমান সময়ে মুসলমানরা গাফেল হয়ে গেছে। তারা নবীজির অনুস্বরণ বাদ দিয়ে কাফিরদের অনুস্বরণ শুরু করেছে। পবিত্র ইসলামের সংস্কৃতি ছেড়ে হারাম লেখাধূলা, হারাম টিভি-সিনেমা, হারাম গান-বাজনা, হারাম বেপর্দা-বেহায়াপনায় দিন-রাত মশগুল থাকছে। মুসলমান আর কাফিরদের পাশাপাশি দেখলে চেনা মুশকিল হয়ে পড়ে যে, কোনটা মুসলমান পুরুষ আর কোনটা কাফির পুরুষ কিংবা কোনটা মুসলমান মহিলা আর কোনটা কাফির মহিলা। অর্থাৎ আমলহীনতায় মুসলমানদের ঈমানী শক্তি পৌছে গেছে শূন্যের কোঠায়। আর সেই সুযোগে কাফিররা মুসলমানদের আক্রমণ করে পরাস্ত করে ফেলছে। ফলে মুসলমান জাতি আজ সারা বিশ্বে অপদস্ত, অবহেলিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত।

কাস্মির, ফিলিস্তিন, ভারত, রোহিঙ্গা, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আমেরিকা-আফ্রিকা-এশিয়াসহ সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের উচিত সমস্ত হারাম কাজ থেকে তওবা করা, কাফিরদের অনুস্বরণ-অনুকরণ বাদ দিয়ে খালিছ ঈমানের দিকে রুজু হওয়া। তা না হলে আরো অপমান অপদস্ত হওয়া অপেক্ষা করছে মুসলমানদের জন্য।

জ্ঞানী মনীষীদের উক্তিসমূহ পাঠ করতে ভিজিট করুন

 

What do you think?

0 points
Upvote Downvote

Leave a Reply

Loading…

0

Comments

0 comments

এই সাইটটি ভিজিট করে আপনার মতামত জানাবেন

আমল ও তদবির সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের বিবরণ

আমল ও তদবির সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের বিবরণ