রোজগার বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে আজকের আলোচনা। আমালিয়াত ১ম ভন্ড, ৩য় অধ্যায়, ৩য় পর্বে রোজগার বৃদ্ধির আমল নিয়েই আলোকপাত করা হয়েছে।
লেখক: হযরত মাওলানা ক্বারী মো: নজরুল ইসলাম সাহেব, ভাদেশ্বরী। (এমএম, এমএ)
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সময়ের স্বল্পতাহেতু সকল আয়াত বা বাক্যের হরকত দেয়া সম্ভব হয়নি।
ইনশাহ আল্লাহ ধীরে ধীরে প্রতিটি আয়াত বা বাক্যের হরকত সংযোজন করা হবে তথা যের, যবর, পেশ সংযোজন করা হবে। তাই আপডেট পেতে সাথে থাকুন।
রোজগার বৃদ্ধি ও জীবিকা প্রাপ্তির আমল
আমি এই কিতাবটিতে বিভিন্ন আরবী, উর্দু, ফার্সী এবং বাংলা কিতাব হতে যাচাই-বাছাই করে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি রোজগার বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আল্লাহপাক এই আমলগুলোর বদৌলতে আমাদের রোজগার বৃদ্ধি করবেন।
৩০টি আজব দ্রব্যগুণের টোটকা যাদু শিখতে ভিজিট করুন
একুশ নং আমল
জুমআর নামাজের পর নিচের আয়াত লিখে দোকানে বা
বাড়ীতে রাখলে রোজগার বাড়ে। আয়াত এই-
ولقد مكنكم فی الارض وجعلنا لكم فيها معايش٠ قليلا ما تشكرون٠
উচ্চারণ- ওয়া লাকাদ মাক্কান্নকুম ফিল আরদি ওয়া জাআ‘লনা লাকুম ফিহা মাআ‘ই, ক্বালিলাম মা তাশকুরুন।
(সূরা আরাফঃ আয়াত-১০) (আমালে কোরআনী)
বাইশ নং আমল
সূরা ইউসুফ লিখে পানিতে ধৌত করে পান করলে জীবিকা ও সম্মান বৃদ্ধি পায়। এই সূরা তাবিজরূপে শরীরে বাঁধলে স্ত্রীর ভালবাসা পাওয়া যায়। (আমালে কোরআনী)
তেইশ নং আমল
সূরা যারিয়াহ অধিক পরিমানে তিলাওয়াত করলে রুজি বৃদ্ধি পায়। (আমালে কোরআনী)
চব্বিশ নং আমল
চাঁদের প্রথম জুমআর দিন হতে আরম্ভ করে ৪০ জুমআ পর্যন্ত মাগরীবের নামাজের পর সূরা আলে ইমরানের ১৫৪ নং আয়াত ১১ বার করে তিলাওয়াত করলে রুজি-রোজগার বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে সূরা আরাফের ১০ নং আয়াতটি কাগজে লিখে প্রতিদনি কুপের মধ্যে কিংবা নদীতে (যেখানে মাছ থাকবে হবে) নিক্ষেপ করবেন। এতে ইনশা আল্লাহ্ রুজি-রোজগার বৃদ্ধি পাবে। (আমালে কোরআনী)
পচিশ নং আমল
সূরা তওবার আয়াত নং ১১১ লিখে ব্যবসার মালের মধ্যে রাখলে মালের বেচা-কেনা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসায় উন্নতি হয়ে থাকে। (আমালে কোরআনী)
ছাব্বিশ নং আমল
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর বিশেষ করে ফরজ ও আছর নামাজের পর শুরুতে ও শেষে ৩ বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবেন। তারপর ৪১ বার নিচের দোয়া কেবলমাত্র রিজিক বৃদ্ধি ও সওয়াবের উদ্দেশ্যে পাঠ করবেন। দোয়াটি হল-
يا غياث المستغيثين اغثنی ويا رزاق اُرْزُقْنِی رِزْقاً بغير حساب٠
(গনজিনায়ে আছরার)
সাতাইশ নং আমল
ফজর নামাজের সুন্নত ও ফরজের মধ্যর্তী সময়ের ভিতরে সূরা হুমাযাহ অর্থাৎ ওয়াইলুলল্লি কুল্লি হুমাযাহ ৪১ বার ৪০ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন (কোনো দিন যাতে বাদ না পরে) পড়বেন। চিল্লা শেষ হওয়ার পর এই আমলকারীকে আল্লাহ তায়া’লার পক্ষ হতে ৪০টি রোপা দান করা হবে। (বায়াযে মুহাম্মদী আসলী) (للٰهُ اعلم)
আটাইশ নং আমল
যে ব্যক্তি সূরা ওয়াকিয়া মাগরীব ও ঈশার নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে তিলাওয়াত করবে এবং মাগরীব হতে ঈশা পর্যন্ত কারো সাথে কথা না বলবে। তারপর নিচের দোয়া পড়বে আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর রিজিকের দরজা খুঁলে দিবেন। দোয়াটি হলো-
اللٰهم يا مسبب الاسباب ويا مفتح الابواب يسر علينا الحساب٠ اللٰهم ان كان رزقى فی السماء فانزله وان كان فی الارض فاخرجه وان كان بعيدا فقربه الی وان كان كريبا فيسره وان كان قليلا فكثره وان كان كثيرا فخلده وطيبه وان كان طيبا فبارك فیه٠ انك علی كل شئ قدير٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুসাব্বিল আছবার ওয়া ইয়া মুফাত্তিহাল আবওয়াব, ইয়াছছির আলাইনাল হিছাব, আল্লাহুম্মা ইন কানা রিজক্বি ফিস-সামায়ি ফাআনজিলাহু, ওয়া ইনকানা ফিল আরদি ফাআখরিজহু, ওয়া ত্বাইয়্যিবহু, ওয়া ইনকানা ত্বাইয়্যিবান ফাবারিক ফিহি ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির। (বায়াযে মুহাম্মাদী আসলী)
ঊনত্রিশ নং আমল
জুমআর দিন আছরের নামাজের পর ৭০ বার আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে মনে এক অপূর্ব ভাবের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় রোজগার বৃদ্ধি ও জীবিকা প্রাপ্তির জন্য প্রার্থনা করলে তা কবুল হয়। (আমালে কোরআনী)
ত্রিশ নং আমল
হযরত মাওলানা জনাব কামরুল হুদা খান ছিদ্দিকী ছাহেব তাঁর একটি বিখ্যাত উর্দু কিতাবে উল্লেখ করেন যে, যদি কেহ বৃহস্পতিবার দিন রোজা রাখেন এবং ইফতারের পূর্বে গোসল করেন এবং (সেলাই ছাড়া) এক পাটের লুঙ্গি পরিধান করেন। আতর, সুবাসিত তেল ইত্যাদি মেখে একাকী কোনো হুজরায় বসে এবং সেখানে আগর বাতি, চন্দনকাঠ ও লোবান জ্বালিয়ে ধুনি দেবেন এবং ২ রাকাত নামাজ পড়বেন এবং প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর ১০ বার সূরা যিলযালাহ, ৪ বার সূরা কাফিরুন ও ১১ বার সূরা ইখলাছ পাঠ করেন। তারপর সালাম ফিরানোর পর নিচের দোয়া ১ হাজার ৪০ বার পাঠ করে শেখ শিহাবুদ্দিন কলন্দর (রঃ) এর রূহের উপর এর সওয়াব বখশীশ করেন এবং মনে মনে বাসনার বিষয় খেয়াল করেন তবে খোদার ইচ্ছায় তাঁর আশা পূর্ণ হবে। কোনো কঠিন বিষয় হলে এরূপ ৩ বার আমল করবেন। ইনশাহ আল্লাহ ফল পাইবেন। দোয়াটি হলো-
بسم اللٰهِ الرحمٰنِ الرحيم٠ يا بديع العجاﺌب با لخير سهل علينا بفضلك يا عظيم يا عزيز٠
উচ্চারণ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, ইয়া বাদিয়াল আজায়িবি বিলখাইরি ছাহহিল আ‘লাইনা বিফাদলিকা ইয়া আ‘জিম ইয়া আ‘জিজু।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন ঔষধের নাম শিখতে ভিজিট করুন। (তৃতীয় অধ্যায় সমাপ্ত)
আমালিয়াত ৪র্থ অধ্যায়, ১ম পর্ব পড়তে ভিজিট করুন
যোগাযোগ: মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮