রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ না জানলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ব। কেননা রোজা একটি ফরজ ইবাদাত। গোটা রমদ্বান মাসব্যাপী রোজা রাখা প্রত্যেক সাবালক নর-নারীর উপর ফরজ। কাজেই আসুন সঠিকভাবে রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ জেনে নেই আর নির্ভুলভাবে রোজা পালনে স্বচেষ্ট হই।
দীর্ঘ এক বছর পর আমাদের মাঝে আবারো ফিরে এসেছে রামাদ্বানুল মোবারক মাস। রোযা সঠিকভাবে রাখার স্বার্থে একবার হলেও আমরা রোযা ভঙ্গের কারণ কি তা দেখে নেয়া অনেক প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সারা দিন রোযা রাখার পর ঐ রোযা যদি না জানার কারণে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এটাতো অবশ্যই দু:খজনক হবে। জ্ঞানী মনীষীদের মহান উক্তিসমূহ পড়তে ভিজিট করুন
রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ নিচে বর্ণিত হল-
১. কানে নাকে তৈল অথবা ঔষধ প্রবেশ করান।
২. নস্য গ্রহণ করা।
৩. ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরিয়া বমি করা।
৪. মুখ ভরিয়া বমি আসার পরে পুনঃ উহা গিলিয়া ফেলা।
৫. কুলি করিবার সময় গলায় পানি ঢুকিয়া যাওয়া।
৬. দাঁতে আটকান খাদ্যকণা গিলিয়া ফেলা (যদি উহা ছোলার সমান বা তার চেয়ে বড় হয়।)
৭. মুখে পান রাখিয়া ঘুমাইয়া পড়িয়া সুবহে সাদেকের পর নিদ্রা হইতে জাগরিত হওয়া।
৮. ধূম-পান করা।
৯. ইচ্ছাকৃতভাবে লোবান বা অন্যান্য সুগন্ধ দ্রব্যের ধুঁয়া গলাধঃকরণ করা বা নাকের ভিতর টানিয়া লওয়া।
১০. রাত্রি মনে করিয়া সুবহে সাদেকের পরে সেহরী খাওয়া।
১১. সূর্য অস্তমিত হইয়াছে মনে করিয়া সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করা (এমতাবস্থায় শুধু ক্বাযা ওয়াজিব হইবে)।
১২. আর যদি দিবাভাগে রোযা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করে অথবা পানাহার করে, তবে ক্বাযা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হইবে। কাফফারা সম্পর্কে অভিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের নিকট হইতে মাসআলা জানিয়া লইবেন।রোজা ভঙ্গের কারণ সমাপ্ত হইল।
রোজা মানব জীবনে দৈর্য্য শিক্ষা দান করে। এটা একদিকে যেমন সওয়াবের কাজ তেমনি এটি সমাজের ধনীদের সহায়তা করে গরীবদের অভাব-কষ্টের কথা বুঝতে। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে এই ফরজ ইবাদাত করার তাওফিক দান করুন, আমীন!!! আমাদের সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
আয়াতে শিফার আমল আর তদবির জানতে ভিজিট করুন
যোগাযোগ: মো: নজরুল ইসলাম, ০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮, nazruld@yahoo.com
আমাদের ওয়েব সাইটসমূহ:
https://www.tkincome.com
https://www.sylhet786.com/
https://www.sylhet786.com/