স্বপ্ন দোষের চিকিৎসা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা থাকবে আজকের আর্টিকেলে। ভালভাবে স্বপ্ন দোষের চিকিৎসা জানতে আগ্রহী পাঠকদের জন্য এই বিশেষ আয়োজন। সাথে থাকুন সবাই।
স্বপ্নদোষ
কুচিন্তা, অশ্লীল বই অধ্যয়ন, অশ্লীল সিনেমা ও উলঙ্গ ছবি দর্শন, অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণ, অখাদ্য ভক্ষণের দরুন স্বপ্নদোষ ব্যাধি হইয়া থাকে। এছাড়া ধাতু দুর্বল থাকিলে স্বপ্ন দোষ হয়ে থাকে। চিকিৎসার জন্য সর্বপ্রথম রোগের আসল কারণ বের করিবেন এবং তাহা দুর করিবেন। সৎ সঙ্গ অবলম্বন করিবেন। মন প্রফুল্ল রাখিবেন। চিৎ হইয়া বা উপুড় হইয়া শয়ন করিবেন না। প্রস্রাব ও পায়খানার বেগ লইয়া ঘুমাইবেন না। অতি উষ্ণ দ্রব্য, কটু ও ঝাল দ্রব্যাদি ভক্ষণ করিবেন না, বিশেষতঃ রাত্রের বেলা।
দ্রব্যগুণন এলাজ
১. শয়নের সময় এক টুকরা সীসা কোমরে ধারণ করিবেন এবং উহা গুর্দা বরাবর রাখিবেন। স্বপ্নদোষ নিবারিত হইবে।
২. শয়নের পূর্বে ৯০ কাবাব চিনির চুর্ণ সেবন করিলে স্বপ্নদোষ নিবারিত হয়।
কোরআনী তদবীর
৩. ঘুমাইবার পূর্বে সূরা তারেক حافظ পর্যন্ত পড়িলে স্বপ্নদোষ হইবে না।
৪. শয়নকালে অঙ্গুলি দ্বারা ডান উরুতে লিখিবে ادم এবং বাম উরুতে লিখিবে حوا । কোন দিন স্বপ্নদোষ হইবে না।
৫. পেটে অসুখ থাকিলে উহার চিকিৎসা করিবেন। নিম্নোক্ত দো’আ লিখিয়া তাবীযরূপে ধারণ করিলে বিশেষ ফল পাইবেন।
بسم اللٰهِ الذی لا يضر مع اسمه شی فی الارض ولا فی السماء وهو السميع العليم٠
বিশেষ দ্রষ্টব্য: শুক্র তারল্যের কারণে স্বপ্নদোষ হইলে বিজ্ঞ কবিরাজ বা হাকীম দ্বারা চিকিৎসা করাইতে দেরি করিবেন না। শুক্র তারল্য না হইলে এবং কামাগ্নি প্রজ্জলিত হইয়া স্বপ্নদোষ হইলে আর কোন চিকিৎসায় ভাল ফল না হইলে বিবাহের দ্বারা স্বপ্নদোষ নিবারিত হওয়া খুবই জরুরি। (বেহেস্তি জেওর- নবম খন্ড, ১৫৭- পৃষ্ঠা)
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার উপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধের নাম শিখতে ভিজিট করুন
৬. সূরা ত্বারেক পড়িয়া ঘুমাইলে অধিক স্বপ্নদোষ হইতে হেফাযতে থাকিবেন। পূর্ব হইতে এই রোগ থাকিলে এই আমলের দ্বারা পরিপূর্ণ আরোগ্য লাভ করিবেন। ইহা খুবই পরীক্ষিত একটি তদবীর।
৭. অধিক স্বপ্নদোষে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমাইবার সময় বুকের উপর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা عمر শব্দ লিখিবে এবং রাতে যখনই ঘুম ভাঙ্গিবে তখনও ঠিক একইভাবে عمر লিখিবে। ইনশা আল্লাহ্ কখনো স্বপ্নদোষ হইবে না।
৭. সূরা নূর লিখিয়া সঙ্গে রাখিলে স্বপ্নদোষ হইতে মুক্ত থাকিবেন।
৮. যেই ব্যক্তির স্বপ্নদোষ হয় অথবা দুঃস্বপ্ন দেখে তাহাকে সূরা ইউনুসের নিম্নোক্ত আয়াতটি লিখিয়া গলায় ধারণ করিতে দিবেন। অথবা শুইবার সময় আয়াতটি পড়িয়া শুইবেন। ইনশা আল্লাহ্ স্বপ্নদোষ বা দুঃস্বপ্ন হইতে মুক্তি পাইবেন।
لهم البشری فی الحيوة الدنيا وفی الاخرة ٠ لا تبديلَ لكلمٰتِ اللٰه٠ ذٰلك هو الفوز العظيم٠
৯. প্রতিদিন মাগরিবের নামাযের পরে সূরা মুরসালাত পড়িবেন এবং এশার নামাযের পরে পবিত্র হইয়া বিছানায় শুইয়া উক্ত সূরা পড়িবেন। ইনশাহ আল্লাহ্ শান্তিদায়ক ঘুম হইবে এবং আল্লাহ্ পাক স্বপ্নদোষ হইতে চিরতরে আরোগ্য দান করিবেন। (এলাজে কোরআনী-৮৯)
১০. শুইবার সময় বুকে হাত রাখিয়া ১৫ বার পড়িবেন- اَلسَّمِعُ وَاَلمُمِيْتُ٠
উচ্চারণ: আস সামিউ ওয়াল মুমিতু।
পড়া শেষ হইলে আর কোনো কথা না বলিয়া ঘুমাইয়া যাইবেন। ইনশাহ আল্লাহ স্বপ্নদোষ হইবে না।
শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব না করার উত্তম চিকিৎসা শিখতে ভিজিট করুন
কোনো কিছু বুঝতে না পারিলে সরাসরি যোগাযোগ করে জিজ্ঞাসা করিয়া লইবেন।
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮