করোনা ভাইরাস পৃথিবীর মানুষের জন্য একেবারে নতুন একটি মহামারী। কাজেই সারা পৃথিবীর মানুষ আজ করুনা ভাইরাসের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। করোনা ভাইরাস এর কোনো প্রতিষেধক এখনো পৃথিবীতে বের হয়নি বা আবিষ্কার হয়নি। উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে এখনো ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তাহলে বাংলাদেশে এর প্রতিষেধক কিভাবে আসবে। বাংলাদেশে যত ডাক্তার রয়েছেন, তারা এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না। এ ব্যাপারে পৃথিবীর চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কারো কোন কিছু জানা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে অহেতুক বিভিন্ন জন বিভিন্ন মন্তব্য করে মানুষদেরকে ভালোর পরিবর্তে বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীতে যে সমস্ত বিজ্ঞানী চিকিৎসা বিজ্ঞানে পারদর্শী তারাও এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছেন না। যেমন- এর আসল প্রতিষেধক কি? কিভাবে এই ভাইরাসের মোকাবেলা করা সম্ভব? কি করলে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? এই ভাইরাসের উপসর্গ কি কি? ইত্যাদি, এ ব্যাপারে কোন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এখনো পুরোপুরিভাবে সুন্দর মন্তব্য করতে পারেননি। এমনকি এই ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কোনো কিছু এখনো আবিষ্কার হয়নি। অনেকেই বলছেন যে, বাংলাদেশে কিছু লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সনাক্ত করার জন্য ভালো কোন মেশিন বা যন্ত্র এখনও আবিষ্কার হয় নাই। অথচ হাসপাতালে কোনো ইমার্জেন্সি রোগী ভর্তি হলে ডাক্তারা রোগীকে হাত লাগাচ্ছেন না। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগীকে, হাঁপানি রোগীকে। তাদের ব্যাপারে প্রতিটা ডাক্তার অহেতুক ভয় পাচ্ছেন। আমার মনে হয় এটা মোটেই ঠিক নয়।
আয়ুর্বেদিক গুণসম্মত চিকিৎসা শিখতে ভিজিট করুন
হ্যাঁ, এ ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করা যেতে পারে। সর্তকতা অবলম্বন করতে যেয়ে যদি কোন রোগীকে হাসপাতালের বেডে ভর্তি না করে ঠেলে দেওয়া হয়, তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে এই ইমারজেন্সি রোগী কোথায় যাবে? এই বিপদের সময় সে এসেছে আপনার কাছে তার জীবন রক্ষা করার মানসে আর আপনি করোনা ভাইরাসের ভয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দিচ্ছেন, তাকে ভর্তি নিচ্ছেন না, এটা কেমন মানবতা? পৃথিবীর সবাই মরতে হবে, মৃত্যু আপনার আসবে, মৃত্যু আমারও আসবে, হউক করোনা ভাইরাসের মাধ্যমে, না হয় এমনিতেই। এজন্য কোন মানুষের সেবা থেকে আল্লাহ যেন আমাদের কাউকে বঞ্চিত না করে এই দোয়া করি।
করোনা ভাইরাস একটি মহামারী রোগ যা খালি চোখে দেখা যায় না বলে বিজ্ঞানীরা মন্তব্য করেছেন। যেটা কেবল মন্তব্য নিশ্চিত করে বলা নয়। আবার কিছু কিছু পুঁজিবাদী চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাস এর ব্যাপারে কিছু আবিষ্কার করলেও বা জানলেও মুখ খুলছেন না। এর অনেক কারণ রয়েছে। কেননা, এই প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে চড়া মূল্যে তা বিক্রি করবেন। কাজেই আমরা বিনা পয়সায় কোথা থেকে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক পেলাম, কি করে আমরা এই ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ফেসবুকে, ইউটিউবে, পোস্ট দিচ্ছি, ভিডিও ছাড়ছি। এ সমস্ত আসলে গুজব ছাড়া আর কিছুই না।
আমাদের দেশের ফেসবুকে বা ইউটিউবে যে সমস্ত পোলাপান করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে একটু আধটু লিখছে তাদের কথায় কান দেয়ার কিছু নেই। নিজেকে একটু প্রচার করার জন্য, দেশের মানুষের কাছে নিজেকে বড় করে তুলে ধরার জন্য অথবা ফেসবুকে নিজেকে লাইক মাস্টার বানানোর জন্য কিংবা ইউটিউবে তার ভিডিওকে ভাইরাল করে কিছু টাকা কামাই করার জন্য, বাংলাদেশের কিছু ছেলেরা অহেতুক এ ব্যাপারে কিছুই না জেনে লেখালেখি করে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে একটা জটিলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারের আইনী ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
কোনো মহামারী বা ভাইরাস দেখা দিলে ইসলাম কি বলে
কোনো ভাইরাস বা মহামারী দেখা দিলে আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যাপারে মুসলমানদেরকে কি শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা আমাদের জানা দরকার।
কোনো মহামারী ভাইরাস দেখা দিলে, কোনো আজাব আসলে, কোনো গজব আসলে, যেকোনো ধরনের ভাইরাস আসলে, আল্লাহর নবী আমাদেরকে সর্তকতা স্বরূপ, দোয়া স্বরূপ, প্রার্থনা স্বরূপ অনেক সুন্দর সুন্দর দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। আমি এই সমস্ত দোয়াকে অর্থসহ পাঠকদের জন্য নিচে যতটুকু সম্ভব লেখার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ যেন আমাকে এই বিষয়ে সুন্দর করে লেখার তৌফিক দান করেন আমিন!
যখন কোনো মহামারী বা ভাইরাস দেখা দিবে তখন নিচের দোয়া হর-হামেশা নিচের দোয়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর পড়বেন, আল্লাহর কাছে মাহফিরাত কামনা করবেন, আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন। দোয়াটি এই-
اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগ্বাদাবিকা, ওয়া-লা তুহলিকনা বিআজা-বিকা, ওয়া আ-ফিনা-ক্বাবলা জা-লিকা।”
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের আপনার গজব দিয়ে হত্যা করবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না, বরং এসবের আগেই পরিত্রাণ দিন। (তিরমিজি: ৩৪৫০)।
যে কোন কঠিন রোগ থেকে আশ্রয় চেয়ে দোয়া-
হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, কোনো কঠিন রোগ দেখা দিলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিচের দোয়া করতেন।
اَللَّھُمَّ اِنِّیْ اَعُوْذُبِکَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَ مِنَ سَیِّءِ الْاَسْقَامِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুজামি, ওয়া মিন ছাইয়্যিইল আসকাম’
অর্থ: হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার মারাত্মক ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
(আবু দাউদ ২/৯৩, সহীহ তিরমিযী ৩/১৮৪; সহিহ নাসাঈ ৩/১১১৬)
সহিহ তিরমিজি শরীফের হাদিস- আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন মুসিবত দেখতেন বা কোন রোগের নিশানা দেখতেন তখন তিনি নিচের দোয়াটি পাঠ করতেন-
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَالأَدْوَاءِ
উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নী আয়ুজুবিকা মিম মুনকারা-তি, ওয়াল আখলাক্বি, ওয়াল আ’য়মালি, ওয়াল আহওয়ায়ি, ওয়াল আদওয়ায়ি”
অর্থঃ– হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম, কুপ্রবৃত্তি এবং কঠিন রোগসমূহ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিরমিজী)
আল্লাহ তায়ালার আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার জন্য দোয়া-
اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِك
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন যাওয়া-লি নি’মাতিকা ওয়া তাহাউয়ুলি আ-ফিয়াতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামী-ই সাখাত্বিক।
অর্থ: হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট তোমার অনুগ্রহের অপসরণ, নিরাপত্তার প্রত্যাবর্তন, আকস্মিক পাকড়াও এবং যাবতীয় অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (মুসলিম- ২৭৩৯)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন- “কেন তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও না, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ লাভ করতে পারো।” (সূরা নামল- ৪৬)
একবার হাসান বাসরি (রহ) বসা ছিলেন। একজন লোক এসে বললেন—জনাব! আমি জীবনে অনেক গুনাহ করেছি, কীভাবে আমার জীবনের সব গুনাহ মাফ করাতে পারবো?
তিনি বললেন, “যাও এবং ইস্তিগফার (আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা) করো।”
কিছু সময় পর অপর এক লোক এসে বলল—অনেকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না, এমন কোন আমল বলে দিন, যা করলে আল্লাহ বৃষ্টি দিবেন।
তিনি বললেন, “যাও এবং ইস্তিগফার করো।”
আরেকজন লোক এসে বলল—আমি ঋণে জর্জরিত। আমি কাজ করছি, আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যেন তিনি আমাকে সম্পদ দান করেন এবং আমি ঋণ মুক্ত হতে পারি।
তিনি বললেন, “যাও এবং ইস্তিগফার করো।”
কিছু সময় পর আরেকজন লোক এসে বলল—আমি চাই আল্লাহ যেন আমাকে সন্তান দান করেন। আপনি দোয়া করুন।
তিনি বললেন, “যাও এবং ইস্তিগফার করো।”
অপর একজন লোক এসে বলল—আমার একটি বাগান আছে। আপনি দোয়া করুন যেন আমার বাগানে আল্লাহ ফল বেশি করে দেন।
তিনি বললেন, “যাও এবং ইস্তিগফার করো।”
হাসান বাসরি (রহ) এর এক ছাত্র পাশেই বসা ছিলেন। তিনি এসব দেখে চিন্তা করতে লাগলেন, “কেন সবাইকেই হযরত বিভিন্ন সমস্যার একই সমাধান বলছেন?
ছাত্রটি হাসান বাসরিকে জিজ্ঞেস করলেন— কেন আপনি সকল সমস্যার একটাই সমাধান দিচ্ছেন?
হাসান বাসরি (রহ) মুচকি হেসে বললেন— কেন বেটা! তুমি কি আল্লাহ তাআলার এই বাণী পড়নি-
فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا
অতঃপর বলেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।
يُرْسِلِ السَّمَاء عَلَيْكُم مِّدْرَارًا
তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা বর্ষণ করবেন,
وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهَارًا
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন। [সূরা নূহ: ১০-১২]
মুসলিম আন্দালুসের (স্পেনের) সুপ্রসিদ্ধ মুফাসসির ইমাম কুরতুবি রাহিমাহুল্লাহ তাঁর তাফসির “আল জামি’ লি-আহকামিল কুরআন”-এ উক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন।
ভাইরাসসহ বালা-মসীবত থেকে বাচার জন্য নিচের দোয়া বা যিকিরগুলো সকাল-সন্ধ্যায় সব সময় আমল করা প্রয়োজন।
দোয়া-১
بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الأَرْضِ وَلاَ فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াদ্বুর্রু মাআ’স্মিহি শাইউন ফিল আরযি ওয়ালা- ফিস্ সামায়ি ওয়াহুওয়াস্ সামী-উল আলী-ম।
অর্থঃ শুরু করছি সেই আল্লাহর নামে, যার নামের সাথে আসমান এবং যমীনের কোন বস্তুই কোন ক্ষতি করতে পারবে না, তিনি মহাশ্রোতা মহাজ্ঞানী। (৩ বার)।
দোয়া–২
أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ ما خَلَقَ
উচ্চারণঃ আউ-যু বিকালিমা-তিল্লাহিত্ তা-ম্মা-তি মিন শার্রিমা- খালাক্ব।
অর্থঃ আশ্রয় প্রার্থনা করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের মাধ্যমে -তাঁর সৃষ্টির সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে। (৩ বার)।
দোয়া–৩
اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اللهمَّ عاَفِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ لا إله إلا أنْتَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী বাদানী, আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী সাময়ী, আল্লাহুম্মা আ’ফেনী ফী বাছারী, লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমি আমার দেহের নিরাপত্তা দান কর, শ্রবন শক্তি ও দৃষ্টি শক্তিকে নিরাপদ রাখ। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন ইলাহ্ নেই। (৩ বার)
দোয়া–৪
اللهمَّ إنِّيْ أسأَلُكَ العاَفِيةَ فِيْ الدُّنْياَ والآخِرَةِ، اللهمَّ إنِّيْ أسأَلُكَ العَفْوَ والعاَفِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ ودُنْيَايَ وَأهْلِيْ وماَلِيْ اللهمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وآمِنْ رَوْعاَتِيْ، اللهمَّ احْفَظْنِيْ مِنْ بَيْنَ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ، وَعَنْ يَمِيْنِيْ، وعَنْ شِماَلِيْ، وَمِنْ فَوْقِيْ، وَأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أنْ اُغْتاَلَ مِنْ تَحْتِيْ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল্ আ’ফিয়াতা ফিদ্ দুন্ইয়া, ওয়াল আ-খিরাহ্, আল্লাহুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল্ আফ্ওয়া, ওয়াল্ আ’ফিয়াতা ফী দীনী ওয়া দুন্ইয়া ইয়া, ওয়া আহলী, ওয়া মা-লী, আল্লাহুম্মাস্ তুর আ’ওরা-তী ওয়া আ-মেন রাওআ’তী, আল্লাহুম্মাহ্ ফাযনী মিম্ বায়নে ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফী, ওয়া আ’ন ইয়ামীনী, ওয়া আ’ন শিমালী, ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আঊযু বিআ’যামাতিকা আন উগতালা মিন তাহতী।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা কামনা করছি, হে আল্লাহ্! আমি প্রার্থনা করছি তোমার কাছে ক্ষমার ও আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার-পরিজন এবং সম্পদের নিরাপত্তা। হে আল্লাহ্! আমার গোপন বিষয়সমূহ (দোষ-ত্রুটি) ঢেকে রাখ এবং আমাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রাখ। হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে হেফাজত কর আমার সম্মুখ থেকে, পিছন থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক থেকে এবং উপর দিক থেকে। আর তোমার মহত্বের উসিলা দিয়ে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি নিচ থেকে মাটি ধ্বসে আমার আকষ্মিক মৃত্যু থেকে।
আসুন এই সমস্ত সুন্দর সুন্দর মর্যাদাপূর্ণ দোয়াগুলোর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি, আমরা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি। তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য করবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদেরকে এই কঠিন ভাইরাস থেকে মুক্তি দান করবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের মহামারী থেকে হেফাজত করবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সবাইকে মাফ করে দেবেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাদের সবাইকে সাহায্য করবেন এই দোয়াসমূহ পাঠ করার মাধ্যমে। এই দোয়া কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
যৌবন ধরে রাখার ১২টি খাবার সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন