শিফার আয়াতের আমল আর বিভিন্ন তদবির নিয়ে আজকের লিখনী। শিফার আয়াতের আমল সঠিকভাবে জানতে পারলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই উপকারে আসবে।
সকল প্রকার আরোগ্যের জন্য আয়াতে শিফার আমল
যে কোনো রোগের জন্য আয়াতে শিফা অত্যন্ত ফলদায়ক। কোন রোগীর শরীরে এই আয়াতে শিফা তিলাওয়াত করে দম করলে রোগ আরোগ্য হয়।
চিনামাটির তশতরিতে এই আয়াতে শিফা লিখে ধুয়ে পান করালে ইনশাহ আল্লাহ রোগ মুক্ত হবে।
وَيَشْفِ صُدُورَ قَومٍ مُؤمِنِينَ٠
উচ্চারণঃ ওয়া ইয়াশফি ছুদূরা ক্বাওমিম মু’মিনীন।
অর্থঃ আল্লাহ তা’আলা মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করবেন।
وَشِفَاءٌ لِّمَا فِى الصُّدُرِ٠
উচ্চারণঃ ওয়া শিফা-উল্ লিমা-ফি ছছুদূর
অর্থ: এবং এই কোরআন অন্তরব্যাধির আরোগ্য বিধান।
يَخْرُجُ مِن بُطُونِهَا شَرَابٌ مُّخْتَلِفٌ اَلْوَانُه فِيهِ شِفَاءٌ لِّلنَاسِ٠
উচ্চারণঃ ইয়াখরুজু মিম বুতূনিহা-শারা-বুম মুখতালিফুল আলওয়া-নহু ফীহি শিফাউল লিন-ন্নাস।
অর্থঃ তার পেট হতে নির্গত হয় বিচিত্র রঙের পানীয়, যাতে মানুষের জন্য আরোগ্য রয়েছে।
وَنُنَزِّلُ مِنَ القُراٰنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحمَةٌ لِلمُؤمِنِينَ٠
উচ্চারণঃ ওয়া নুনাযযিলু মিনাল কোরআনী মা-হুওয়া শিফাউওঁ ওয়া রাহমাতুল লিলমু’ মিনীন।
অর্থঃ এবং আমি কোআনের এমন আয়াতসমূহ অবতীর্ণ করেছি যাতে মু’মিনদের রোগমুক্তি ও শান্তি লাভ হয়।
وَاِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشفِينَ٠
উচ্চারণঃ ওয়া ইযা-মারিদ্বতু ফাহুওয়া ইয়াশফীন।
অর্থ: এবং আমি যখন রোগাক্রান্ত হই তখন তিনি আমাকে আরোগ্য দান করেন।
قُل هُوَ لِلَّذِينَ اٰمَنُوا هُدًى وَّشِفَاءٌ٠
উচ্চারণঃ ক্বুল হুয়া লিল্লাজিনা আ-মানু হুদাও ওয়া শিফা।
অর্থ: আপনি বলে দিন, এটা ঈমানদারদের জন্য পথ নির্দেশ ও রোগমুক্তি প্রদায়ক।
ভাল ছাত্র হওয়ার উপায় জানতে চাইলে ভিজিট করুন
আয়াতে শেফার বিশেষত্ব ও আমল
হাকীমূল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) বলেন, এ আয়াতগুলিকে আয়াতে শেফা বলা হয়। এগুলোর বরকতে আল্লাহ্ পাক সব রকম রোগ দূর করে দেন। চীনা মাটির তশতরীতে গোলাপ ও জাফরান দ্বারা লেখে ধৌত করত রোগীকে খাওয়াতে হয় অথবা লেখে তাবিজরূপে গলায় বাঁধতে হয়। যত কঠিন রোগই হোক না কেন ইনশাহ আল্লাহ এতে আরোগ্য হবেই।
কঠিন রোগের আরোগ্য লাভের আমল
কোন বিশেষ মোত্তাকী ও মিতাচারী লোক আয়াতে শেফাগুলো মেশক জাফরান দ্বারা ছয়টি বাসনে লেখবে অতঃপর নিয়মানুযায়ী একের পর এক একটি বাসনের লেখা পানি দ্বারা ধুয়ে রোগীকে খাইয়ে দিবে। এতে রোগ যত কঠিনই হোক না কেন, আল্লাহর মেহেরবানীতে তা নিরাময় হবে।
রোগমুক্তির আমল
যে কোনো জটিল রোগমুক্তির জন্য নিচের আমলটি অত্যন্ত কার্যকরি। এই জিকির বুর্যগানে দ্বীনের শিখিয়ে দেয়া একটি রুহানী শক্তির প্রয়োগমাত্র।
ডান দিকে يَااَحَدُ (ইয়া আহাদু), বাম দিকে يَاصَمَدُ (ইয়া সামাদু), আকাশের দিকে يَاوُترُ (ইয়া বিতরু) এবং যমীনের দিকে يَافَرضُ (ইয়া ফারদু) এক হাজার বার পড়বে। (জিয়াউল কুলুব)
তাওবাহ কবুল হওয়ার ২টি আমল সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮
Pingback:রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ বিস্তারিতভাবে জেনে নিন - sylhet786 %
Pingback:হযরত ইয়াকুব বদরপুরী (রহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী - sylhet786
Pingback:হযরত আহমদ হিজাযী মক্কী (রহ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী - sylhet786
Pingback:কবীরা গুনাহের তালিকা সমূহের বিস্তারিত বর্ণনা জেনে নিন - sylhet786
Pingback:শবে বরাতের নামাজ সঠিকভাবে আদায় করার নিয়ম - sylhet786
Pingback:রোজার ফজিলত ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা - sylhet786