উদ্দেশ্য হাসিলের আমল সম্পর্কে আজকের আলোচনা। আমালিয়াত ১ম ভন্ড, ২য় অধ্যায়, ২য় পর্বে উদ্দেশ্য হাসিলের আমল নিয়েই আলোকপাত করা হয়েছে।
আমালিয়াত ১ম খন্ডের দ্বিতীয় অধ্যায়, দ্বিতীয় পর্ব, পাঠ করুন
আমালিয়াত ২য় অধ্যায়, ২য় পর্ব হচ্ছে আমল সংক্রান্ত একটি বাংলা কিতাব। ২য় অধ্যায়, ২য় পর্ব তে রয়েছে খতমে খাজেগান পাঠ করে উদ্দেশ্য হাসিলের পরীক্ষিত আমল। আমালিয়াত ১ম খন্ড কিতাবটি পাঠ করলে হরেক রকম বালা-মুসিবত থেকে রেহাই পাওয়ার আজিব ও গুরুত্বপূর্ণ তদবির বা আমল জানতে পারবেন। আমালিয়াত ১ম খন্ড ২য় অধ্যায় ২য় পর্ব কিতাবটি বাংলা ভাষায় রচিত আমল ও ফজিলত সম্পর্কে অতি সুন্দরভাবে বর্ণিত একটি মহামূল্যবান বই। কাজেই আমালিয়াত ১ম খন্ড ২য় অধ্যায় ২য় পর্ব বইটি আমলকারীদের নানা ধরনের উপকারে লাগবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ২য় অধ্যায়, ২য় পর্ব আলোচনা করার শুরুতে আল্লাহপাকের সাহায্য কামনা করছি।
কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমালিয়াত ১ম খন্ড, ২য় অধ্যায়, ২য় পর্ব শুরু
৯. খতমে খাজেগান পড়ার মাধ্যমে উদ্দেশ্য হাসিলের আমল
হজরত খাজা বাহা উদ্দিন নকশবন্দী, হজরত খাজা বয়োজিদ বোস্তামী, হজরত খাজা আবুল হাছান খারকানী, হজরত খাজা আব্দুল খালেক এজদাওয়ানী, খাজা আহমদ ওয়াছওয়াতী, হজরত খাজা আবুল মনসুর, হজরত খাজা হামদানী, হজরত খাজা বাবাছমিনাছী, হজরত খাজা মোহাম্মদ নকশবন্দী, হজরত খাজা আব্দুল্লাহ আহরাফী, (আল্লাহ তাঁদের উচ্চ মর্যাদা দান করুন) এ সকল ওলী- আল্লাহগণ সুদৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, যে ব্যক্তি নিচের নিয়মে ৩ দিন পর্যন্ত খতমে খাজেগান পড়বে, আল্লাহ তা’য়ালা তাঁর ১ হাজার ১টি আশা পূর্ণ করবেন।
হযরত মাওলানা জনাব কামরুল হুদা খান ছিদ্দিকী ছাহেব তাঁর একটি বিখ্যাত উর্দু কিতাবে খতমে খাজেগানের কথা অতিব গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছেন। এই খতম যে কোনো সময়ই পড়া যায়। তবে সোমবার বা বৃহস্পতিবার অথবা শুক্রবার আরম্ভ করাই উত্তম। আশা পূরণের জন্য এই খতম অত্যন্ত কার্যকরী। ইহা বহুবার পরীক্ষা করা হয়েছে।
অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করবেন জানতে চাইলে ভিজিট করুন
খতম পড়ার নিয়ম
কয়েকজন পরহেযগার-মুত্তাকী লোক পাক-পবিত্রতার সাথে বসে নিচের নিয়মে খতমে খাজেগান পড়বেন-
সূরা ফাতেহা ৭ বার, ১০০ বার দুরূদ শরীফ। তারপর ৭৯ বার সূরা আলাম নাশরাহলাকা, ১০০০ বার সূরা ইখলাছ, ১০০ বার দুরূদ শরীফ। তারপর ১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ قَاضِىَ اَلحَاجَاتِ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া ক্বাদিয়াল হাজাত,
অর্থ- হে আল্লাহ্! হাজতমসূহ পূর্ণকারী।
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ كَافِىَ اَلمُهِمَّاتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া কাফিয়াল মুহিম্মত,
অর্থ- হে আল্লাহ্! হে গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী সস্পাদনকারী! ১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ دَافِعَ اَلبَلِيَاتُ ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া দাফি‘য়াল বালিইয়াত,
অর্থ- হে আল্লাহ্! হে বিপদসমূহ প্রতিরোধকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُجِيبَ الدَّعوَاتُ ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুজিবাদ্ দায়ওয়াত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে প্রার্থনাসমূহ কবুলকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ رَافِعَ اَلدَّرَجَاتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া রা-ফিয়া’দ্ দারাজাত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে মর্যাদাসমূহ উন্নয়নকারী!
১০০ বা পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُسَبِّبَ الاَسبَابُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুছাব্বিবাল আছবাব,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে সকল উপকরণের ব্যবস্থাপক!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُفَتِّحَ الاَبوَابُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুফাত্তিহাল আবওয়াব,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে দরজাসমূহ (রহমতের) উম্মুক্তকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ حَلاَّلَ المُشكِلاَتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া হাল্লালাল মুশকিলাত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে বিপদসমূহ থেকে মুক্তিদানকারী!
১০০ বার পড়বে-
اَللٰهُمَّ ياَ نَاصِرَ الطَّيِّبَاتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহম্মা ইয়া না-সিরাত্ ত্বাইয়্যিবাত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে উত্তম কার্যাবলির সাহায্যকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ وَلِىَ الحَسَنَاتُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহম্মা ইয়া ওয়ালিয়্যাল হাছানাত,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে কল্যানসমূহের অধিকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ شَافِىَ المَرضٰى٠
উচ্চারণ- আল্লাহম্মা ইয়া শাফিয়াল মারদ্বা,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে রোগীদের আরোগ্যদানকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُنجِىَ الهَلكٰى ٠
উচ্চারণ- আল্লাহম্মা ইয়া মুনজিয়াল হালকা,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে ধবংশ প্রাপ্তদের উদ্ধারকারী!
১০০ বা পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُنقِذَ الغَرقٰى٠
উচ্চারণ- আল্লাহম্মা ইয়া মুনক্বিজাল গারক্বা,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে ডুবন্তদের উদ্ধারকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ شَاهِدَ كُلِّ نَجوٰى٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া সাহিদা কুল্লি নাজওয়া,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে সকল গোপন বিষয়ের দ্রষ্টা!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ مُنتَهٰى كُلِّ شَكوٰى٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া মুনতাহা কুল্লি শাকওয়া,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে সকল অভিযোগের প্রান্তসীমা!
১০০ বা পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ غِيَاثَ المُستَغِيثِينَ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া গিয়াছাল মুসতাগীসীন,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে আর্তনাদকারীদের আর্তনাদ শ্রবণকারী!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ ذَاالجَلاَلِ وَالاِكرَامِ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া যালজালালি ওয়াল ইকরাম,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে মহত্ব ও দয়ার অধিপতি!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ حَىُّ يَا قَيُّومُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে চিরঞ্জিব, হে সবকিছুর ধারক!
১০০ বা পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ سَلاَمُ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া সালামু,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে শান্তিদাতা!
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ اَرحَمَ الرّٰحِمِينَ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া আরহামার রা-হীমীন,
অর্থ- হে আল্লাহ! হে দয়ালুদের বড় দয়ালু।
অত:পর নিচের দোয়াটি ১০০ বার পড়বেন-
فَسَهِّلْ يَا اِلَهِى كُلَّ صَعْبٍ بِحُرمَةِ سَيِّدِ الاَبْرَارِ٠ سَهِّلْ بِفَضْلِكَ يَا عَزِيزُ٠
উচ্চারণ- ফাছাহ্হিল ইয়া ইলাহি কুল্লা স্বায়’বিন বিহুরমাতি সাইয়্যিদুল আবরার, ছাহ্হিল বিফাদলিক ইয়া আজীজ।
অর্থ- হে আল্লাহ! নেক্ কারগণের ছরদার হযরত মুহাম্মদ (সা) এর ইজ্জতে আমার প্রত্যেক কঠিন কাজ সহজ করে দাও! হে ক্ষমাশীল! তোমার দয়া দ্বারা সহজ করে দাও!
অত:পর নিজের হাজতের জন্য দোয়া করলে ইনশাহ আল্লাহ দোয়া কবুল হবে।
একটি বিস্ময়কর ঘটনা
হযরত সাবেত বেনানী (রঃ) বলেন, ২ রাকাত নামাজ পড়ার জন্য আমি একটা বাগানে গেলাম এবং নামাজের পূর্বে সূরা মুমিনের প্রথম ৩ আয়াত তিওলায়াত করলাম। হঠাৎ দেখি এক ব্যক্তি আমার পেছনে সাদা একটা খচ্ছরে সওয়ার হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর দেহে ছিল ইয়ামেনী পোশাক।
লোকটি আমাকে বললেন, যখন তুমি-
غَافِرِ الذَّمبِ
(গাফিরিজ্জাম্ভি) পড়ো, তখন তার সাথে এই দোয়াও পাঠ করো
ياَ غَافِرَ الذَّمبِ اِغفِرلِى٠
উচ্চারণ- ইয়া গাফিরাজ্জাম্ভি, ইগ্ফিরলী।
অর্থ- হে পাপ ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুন। যখন
وَ قَابِلِ التَّوبِ
(ওয়া ক্বাবিলিত্তাওবি) পড়ো, তখন এর সাথে এই দোয়া পাঠ করো-
ياَ قَابِلَ التَّوبِ اِقبَل تَوبَتِی٠
উচ্চারণ- ইয়া ক্বাবিলাত্তাওবি, ইক্ববাল তাওবাতি।
অর্থ-হে তওবা কবুলকারী! আমার তওবা কবুল করুন। যখন
شَدِيدُ العِقَابِ
উচ্চারণ- শাহীদুল ইক্বাব
পড়ো, তখন এর সাথে এই দোয়া পাঠ করো-
ياَ شَدِيدَ العِقَابِ لاَ تُعَاقِبنِى٠
উচ্চারণ- ইয়া শাদীদাল ইক্বাবি, লা তু’য়াক্বিব্নী।
অর্থ- হে কঠোর শাস্তিদাতা! আমাকে শাস্তি দিবেন না। এবং যখন-
ذُو الطَّولِ
উচ্চারণ- জিত্তাওলী, পড়ো, তখন এর সাথে এই দোয়া পাঠ করো-
ياَ ذَا الطَّولِ طِلْ عَلَىَّ بِخَيرِ٠
উচ্চারণ- ইয়া জাত্তাওলী, ত্বীল আ’লাইয়্যা বিখাইর, অর্থ- হে অনুগ্রকারী! আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন।
সাবেত বেনানী আরো বলেন, এ উপদেশ শোনার পর আমি যখন ঐ লোকের দিকে তাকালাম, তখন তাঁকে আর দেখতে পেলাম না। আমি তাঁর খুঁজে বাগানে দরজায় এসে লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম, কোনো ইয়ামনী পোশাক পরিহিত ব্যক্তি এ পথে গিয়েছে কিনা? সবাই বলল, আমরা এমন কোনো লোক দেখিনি।
(তাফসীরে মারেফুল কোরআন)
তাই খতমে খাজেগান পড়ার শেষের দিকে এই গুরুত্বপূর্ণ ৪টি দোয়া পড়লে আরো অনেক ফায়েদা হাসিল হবে।
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ غَافِرَ الذَّمبِ اِغفِرلِى٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া গাফিরায্ জাম্বি, ইগফিরলী,
অর্থঃ হে আল্লাহ! হে পাপ ক্ষমাকারী! আমাকে ক্ষমা করুণ।
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ قَابِلَ التَّوبِ اِقبَل تَوبَتِی٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া ক্বাবিলাত্তাওবি, ইক্ববাল তাওবাতি,
অর্থ- হে তওবা কবুলকারী! আমার তওবা কবুল করুন।
১০০ বার পড়বেন-
اَللٰهُمَّ ياَ شَدِيدَ العِقَابِ لاَ تُعَاقِبنِى٠
উচ্চারণ- ইয়া শাদীদাল ইক্বাবি, লা তু’য়াক্বিব্নী,
অর্থ- হে কঠোর শাস্তিদাতা! আমাকে শাস্তি দিবেন না।
১০০ বার পড়বেন-
اللهمَ ياَ ذَا الطَّولِ طِلْ عَلَىَّ بِخَيرِ٠
উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা ইয়া জাত্তাওলী, ত্বীল আলাইয়্যা বিখাইরী,
অর্থ- হে অনুগ্রহকারী! আমার প্রতি অনুগ্রহ করুন।
১০. হাজত পূরণের নামাজ
কঠিন হাজত পূরণের জন্য উদ্দেশ্য হাসিলের আমল করার জন্য ৪ রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার পর ১০০ বার পড়বেন-
لا اله الا انت سبحانك انی كنت من الظالمين٠ فاستجبنا له ونجينهُ من الغمِ وكذالك ننجی المؤمنينَ٠
উচ্চারণ- লা ইলাহা ইল্লা আনতা সোবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ্ জোয়ালিমীন। ফাছ্তা যাব্না লাহু ওয়া নাঝ্ঝাইনাহু মিনাল গাম্মী ওয়া কাজালিকা নুন্ঝিল মো‘মিনীন।
(সূরা আম্বিয়াঃ আয়াত-৮৭,৮৮)
দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর ১০০ বার পড়বেন-
رب انی مسنی الضر وانت ارحم الراحمين٠
উচ্চারণ- রাব্বি আন্নী মাছ্ছানিয়াদ্ দ্বুর্রু ওয়া আন্তা আর্হামুর্ রা-হিমীন।
(সূরা আম্বিয়াঃ আয়াত-৮৩)
তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পর ১০০ বার পড়বেন-
وافوضُ امری الی الله ، انَّ اللهَ بصيربالعباد٠
উচ্চারণ- ওয়া ওফাওয়িদ্বু আমরী ইলাল্ল্লাহ, ইন্নাল্লাহা বাছিরুম বিল ইবাদ।
(সূরা হা-মিমঃ আয়াত-৪৪)।
চতুর্থ রাকাতে সূরা ফাতেহার পর ১০০ বার পড়বেন-
حسبنا اللهُ ونعم الوكيلُ٠
উচ্চারণ- হাছবুনাল্লাহু ওয়া নি‘য়মাল ওয়াকিল।
(সূরা আল কামারঃ আয়াত-১০)
হযরত মাওলানা শাহ আব্দুল আজিজ (রঃ) বলেন, ইমাম জাফর সাদিক (রঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, এই চার আয়াতে ইসমে আজম নিহিত। এর ওছিলায় যে কোন সওয়াল ও দোয়া কবুল করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমি সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আর্শ্চযান্বিত হই , যে ব্যক্তি এই আয়াতসমূহের ওছিলা নিয়ে দোয়া করে অথচ তার দোয়া কবুল হল না। (আনওয়ারুছ ছালিকিন)
১১. কোরআন খতমের মাধ্যমে মকছুদের হাসিলের আমল
খতম পড়ার নিয়ম
শুক্রবারে সূরা বাক্বারার প্রথম হতে সূরা মায়েদার শেষ পর্যন্ত, শনিবারে সূরা আনআম হতে সূরা তওবার শেষ পর্যন্ত, সোমবারে সূরা ত্বাহা হতে সূরা কাছাছ এর শেষ পর্যন্ত, মঙ্গলবারে সূরা আনকাবুত হতে সূরা ছোয়াদ এর শেষ পর্যন্ত এবং বৃহস্পতিবারে সূরা ওয়াক্বেয়া হতে কোরআনের শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করে সিজদায় পতিত হয়ে নিজের মকছুদের জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে দোয়া করলে তা কবুল হয়। এই খতমের মাধ্যমে সব রকম মকছুদ পুরা হয়ে থাকে। ইহা খুবই পরীক্ষিত আমল। (আমালে কোরআনী)
১২. সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াতের মাধ্যমে মকছুদ হাসিল
বোজর্গানে দ্বীন বলেছেন যে, যে ব্যক্তি কোনো মকছুদ হাসিলের জন্য সূরা ইয়াসিন এই নিয়মে পাঠ করাবেন যে, ১/৩/৫/৭ জন ব্যক্তি পরস্পর মিলে খালিছ নিয়তে উক্ত সূরা তিলাওয়াত করবেন এবং তিলাওয়াত আরম্ভ করার পূর্বে ১০০ বার দুরূদ শরীফ পড়বেন। আল্লাহ তা’য়ালার হুকুমে সেই মকছুদ হাসিল হবে। এটা পরীক্ষিত আমল।
১৩. বিশেষ দোয়া তিলাওয়াতের মাধ্যমে উদ্দেশ্য হাসিল
মোকাতেল ইবনে হোব্বান হতে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পরে কারো সাথে কোন কথা না বলে জায়নামাজে বসে ১০০ বার নিচের দোয়াটি পাঠ করে আল্লাহর নিকট মোনাজাত করবে তাঁর দোয়া কবুল হবে। দোয়াটি হলো-
بسم الله الرحمن الرحيم٠ ولا حول ولا قوة الا باللهِ العلی العظيم٠ يا قادير، يا كريمُ، يا فردُ، يا وترُ، يا واحدُ، يا صمدُ، يا حیُّ، يا قيومُ، ذول جلال والاكرام٠
উচ্চারণ- বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম। ওয়ালা হাওলা ওয়ালা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আ’লিয়িল আ’জিম। ইয়া ক্বা-দীরু, ইয়া কারীমু, ইয়া ফারদু, ইয়া উইতরু, ইয়া ওয়াহিদু, ইয়া সামাদু, ইয়া হাইয়্যু, ইয়া ক্বাইয়্যুমু, জুলঝালালি ওয়াল ইকরাম
১৪. গুরুত্বপূর্ণ ইসিম মোবারক দিয়ে জিকির করার মাধ্যমে দোয়া কবুলের নিয়ম
ছুরারিন নাজীম কিতাবে লিখিত আছে, আল্লাহ তা’য়ালার এই পবিত্র নাম কয়টি জিকির করে দোয়া করলে নিঃসন্দেহে দোয়াকারীর দোয়া কবুল হবে।
দোয়াটি হলো-
يا حنانُ يا منانُ يا بديعَ السمٰوات والارضِ٠
উচ্চারণ- ইয়া হান্নানু, ইয়া মান্নানু, ইয়া বাদিয়াছ্ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদি।
সহবাসে সক্ষমতা অর্জন করবেন কিভাবে জানতে ভিজিট করুন
যোগাযোগ
০১৭১৬-৩৮৬৯৫৮
nazruld@yahoo.com
লেখক: হযরত মাওলানা ক্বারী মো: নজরুল ইসলাম সাহেব, ভাদেশ্বরী। (এমএম, এমএ)